নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় রান্নাঘরে বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রীসহ পাঁচজন দগ্ধের ঘটনায় সুখী আক্তার (২৫) নামে এক নারী মারা গেছেন। আজ সোমবার ভোর ৬টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে তিনি মারা গেছেন। নিহতের স্বামী এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সুখী আক্তারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন আইউব হোসেন।
চিকিৎসক আইউব হোসেন জানান, নারায়ণগঞ্জে আগুনের ঘটনায় সুখী আক্তারের শরীরের ৯৮ শতাংশ দগ্ধ ছিল। ভোরের দিকে হাসপাতালে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় সুখীর স্বামী আল আমিন (৩০) ৯৫ শতাংশ ও রাজমিস্ত্রি রফিক মিয়া (৪৫) ১২ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গতকাল রোববার দুপুর ১টার দিকে ফতুল্লার লামারবাগ মেট্রো গার্মেন্টস-সংলগ্ন একটি দোতলা বাড়ির নিচতলায় বিস্ফোরণের ঘটন ঘটে। বিস্ফোরণে দগ্ধ অন্যরা হলেন আলেয়া বেগম (৬০) ও তাঁর ছেলে জামাল হোসেন (৪০)।
আল আমিনের চাচাতো ভাই মো. রাসেল জানান, সুখী মেট্রো গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। আর তাঁর স্বামী আল আমিন মোতালেব মনোয়ারা গার্মেন্টসে চাকরি করেন। ওই বাড়ির নিচতলার একটি রুমে ভাড়া থাকেন তাঁরা। দুজনে দুপুরে কর্মস্থল থেকে বাসায় ফিরে খাবার গরম করার জন্য রান্নাঘরে যান। সেখানে দেশলাই জ্বালাতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে তাঁদের দুজনের সমস্ত শরীর পুড়ে যায়। এবং পাশের রুমে থাকা আলেয়া বেগম, তার ছেলে এবং রাজমিস্ত্রির কাজ করা রফিক মিয়াও দগ্ধ হন। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে আনা হয়।
দগ্ধ আলেয়া বেগম জানান, রান্নাঘরটিতে বেশ কয়েক দিন ধরে গ্যাস লিকেজের শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল। এ জন্য চুলায় গ্যাস বের হতো না। লিকেজ হওয়া গ্যাস থেকেই বিস্ফোরণ হয়েছে বলে তাঁর ধারণা।