‘দোতলার অর্ধেক পর্যন্ত আগুন দেখছি ৷ বাকিডা ধোঁয়া আর ধোঁয়া। ভেতরে কিচ্ছু দেহা যাইতাছে না ভাই। মালামাল বাইর করাও যাইতাছে না৷ খুব খারাপ অবস্থা।’ বলছিলেন ঢাকা নিউ সুপার মার্কেটের কর্মচারী মো. সুমন। তিনি কয়েকবার মার্কেটের দোতলার ভেতরে গিয়ে মালামাল বের করার চেষ্টা করেছেন।
সদ্য দেখে আসা দোতলার ভয়াবহ অবস্থার কথা বলতে গিয়ে বারবার থামছিলেন সুমন। তারপর নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন, ‘দোতলায় আমার মহাজনের দুইটা দোকান। একটার নাম আয়েশা ফ্যাশন, আরেকটার নাম লেডিস স্টাইল টু। দুই দোকানেই নারীদের ওয়ান পিস বিক্রি করা হয়।’
সুমন বলেন, ‘যা মালামাল তার কতখানি বাইর করতে পারছি, হেইডা কইতে পারি না ভাই। আগুনের তাপ খুব। আর ধুমায় (ধোঁয়া) সব আন্ধার। কিছুই দেহা যাইতাছিল না। আমরা কয়েকবার ওপরে যাইতে পারছি। এহন আর যাওন সম্ভব না।’
তার পরেই আক্ষেপ করে বললেন, ‘আর কয়ডা দিন পরেই চানরাইত (চাঁদরাত)। বেচাকেনাডা তো তহনই হইব। গতকাইল রাইতে মেলা কাস্টমার আছিল। আইজও হইতো ৷ গত রাইতে একটা পর্যন্ত দোকানদারি করছি। কীসে থাইকা কী হইয়া গেল।’
তৃতীয় তলায় বাইনর নামে একটি দোকানের মালিককে উদ্ধার করা সামান্য কিছু মালামালের সামনে দাঁড়িয়ে মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে কাঁদতে দেখা গেল। আবুল কালাম নামের এই দোকানি তাঁর স্বজনদের বলছিলেন, ‘কইতে গেলে কিছুই বাইর করবার পারি নাই। সব শ্যাষ। চিন্তা কইরা আর কী হইব। আমার মতো সবডিরই একই অবস্থা। দোয়া কইরো আমাগো লাইগা।’
কালামের দোকানের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তৃতীয় তলায় দোকানের ওপরেই ছিল তাঁদের গোডাউন। দোকান থেকে কিছু মালামাল উদ্ধার করা গেলেও গোডাউনের ধারেকাছেই যেতে পারছে না। কালামের দুশ্চিন্তা মূলত গোডাউন নিয়ে।
আরও পড়ুন: