নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর পল্লবীতে শেখ মো. সাকিব রায়হান নামের এক ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের চার নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দার তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আজ বিকেলে আদালতে তাঁদের হাজির করে পল্লবী থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেককে রিমান্ডের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাঁরা হলেন— আওয়ামী লীগের পল্লবী থানার ২ নম্বর ওয়ার্ড সহসভাপতি অধ্যাপক মো. দেলোয়ার হোসেন, পল্লবী ই-ব্লক ইউনিট সভাপতি ইসমাইল হোসেন জাবেদ, পল্লবী ডি-ব্লক ইউনিট সভাপতি মো. ইফতেখারুল চৌধুরী চমন ও পল্লবী সি-ব্লক ইউনিট সাধারণ সম্পাদক মো. লাল মিয়া মল্লিক।
গতকাল সোমবার রাতে পল্লবী থানার মুসলিম বাজার এলাকা থেকে এই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর মিরপুর-৬ এলাকায় মো. সাকিব রায়হান হত্যার ঘটনায় ৩ অক্টোবর পল্লবী থানায় একটি মামলা রুজু হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই বিকেলে মিরপুর-৬ পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনের রাস্তায় আন্দোলনরত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নির্বিচার গুলিবর্ষণ ও এলোপাতাড়ি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ছোড়া গুলিতে মো. সাকিব রায়হান বুকে গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহতাবস্থায় শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।