ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষর জাল করে সড়ক পরিবহন আইনের মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতি দেওয়ার অভিযোগে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে কর্মরত দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১২ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দা এই তারিখ ধার্য করেন।
তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল আজ। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।
আদালতের কোতোয়ালি থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এস আই আলী আশ্রাব নতুন তারিখ ধার্যের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১০ এর বেঞ্চ সহকারী ইমরান হোসেন কোতোয়ালি থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
যে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় তারা হলেন সিএমএম আদালতের মোটরযান শাখার দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসআই মো. ফুয়াদ উদ্দিন ও একই শাখার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা মো. আবু মুছা।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে এসআই ফুয়াদ উদ্দিন দুটি মামলার নথি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সাদীর কাছে উপস্থাপন করেন। কিন্তু আসামিরা উপস্থিত না থাকায় ম্যাজিস্ট্রেট কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেননি।
পরবর্তীতে ম্যাজিস্ট্রেট জানতে পারেন, তাঁর স্বাক্ষর জাল করে সড়ক পরিবহন আইনের মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ফেরতের আদেশ সরবরাহ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আদালতের বেঞ্চ সহকারীকে মামলা করার নির্দেশ দিলে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়েছে, দীর্ঘদিন যাবত আদালতের মোটরযান শাখার এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও তাদের সহযোগীরা দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষর জাল করে এ ধরনের অপরাধ সংঘটিত করে আসছেন।
ঢাকার আদালত সূত্রে জানা গেছে, মামলা দায়ের হওয়ার আগেই এই দুই পুলিশ কর্মকর্তা কর্মস্থল থেকে পালিয়েছেন। তারা এখনো গ্রেপ্তার হননি।