টঙ্গিবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
ঈদের ছুটিতে বেড়াতে এসে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে ডুবে গিয়ে দুই জনের মৃত্যুর হয়েছে। আর একজন নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ কিশোর নিহত একজনের ছেলে।
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দীঘিরপাড় সরিষাবন এলাকায় শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একজন রিয়াদ আহমেদ রাজু (৪৫)। তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ রোড এলাকার হারুনুর রশিদ মোল্লার ছেলে। আরেকজন চুয়াডাঙ্গা জেলার মুন্সী আহসান উল্লাহর ছেলে মাহমুদুর রহমান জুয়েল (৪০)। ওপরজন রিয়াদ আহমেদ রাজুর ছেলে রামিন আরিছ (১৬), সে এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
মো. রিয়াদ আহমেদ রাজু বাংলাদেশ রেলওয়ের অ্যাডিশনাল চিপ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত। আর জুয়েল রানা একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা। রিয়াদ ও জুয়েল সম্পর্কে ভায়রা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রিয়াদ আহমেদ ঈদের ছুটিতে পরিবার নিয়ে ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বেশনাল গ্রামে চাচা ইকবাল মোল্লার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। আজ বিকেলে তাঁরা ৩০-৩৫ জন ইঞ্জিনচালিত একটি ট্রলারে করে পদ্মা নদীতে ঘুরতে বের হন। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার দীঘিরপাড় ইউনিয়নের ধানকোড়া পদ্মার চরে আসেন। সেখানে ট্রলারের অধিকাংশ লোক গোসল করতে নামেন।
গোসলের একপর্যায়ে বিকেল ৫টার দিকে রিয়াদ আহমেদ, জুয়েল রানা, আরিফসহ কয়েকজন নদীর গভীরে চলে যান। এই তিনজন সাঁতার জানতেন না। অন্যরা সাঁতরে তীরে আসতে পারলেও রিয়াদ আহমেদ, তাঁর ছেলে আরিছ ও জুয়েল রানা স্রোতে ভেসে যান।
ঘটাস্থলে থাকা রায়হান নামের একজন বলেন, গোসল করতে নামার পরে পানির স্রোতে কয়েকজন তলিয়ে যায়। তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে রিয়াদ আহমেদ রাজুর মৃত্যু হয়।
টঙ্গিবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ শাজাহান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি টিম ও নৌ-পুলিশের যৌথ অভিযানে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি একজনকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি। আগামীকাল শনিবার সকালে পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করা হবে।