নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় আটকে এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় চার আসামিকে ফের ২ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুল ইসলাম তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামিরা হলেন- সান, হিমেল, রকি ও সালমা ওরফে ঝুমুর।
দুপুরের পর চার আসামিকে তিন দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুকুল ইসলাম আসামিদের পুনরায় পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।
অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঢাকার আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন প্রসিকিউশন দপ্তরের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই তাহমিনা হক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত ১ লা এপ্রিল চার আসামিকে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় আটকে রেখে ২৫ দিন ধরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় এক তরুণীকে। নবীনগর হাউজিংয়ের একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণও করা হয়।
গত ৩১ মার্চ তরুণীর চিৎকার শুনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে এক ব্যক্তি কল করলে পুলিশ তরুণীকে শেকলে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে।
পরে গত ৩১ মার্চ রাতে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী তরুণী। এরপর অভিযান চালিয়ে চার জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ব্যারিস্টার মাসুদ নামে এক ব্যক্তি এই ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন। ব্যারিস্টার মাসুদ পর্নোগ্রাফি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ধর্ষিতার ভিডিও ধারণ করে সেটা ব্যারিস্টার মাসুদকে আসামিরা সরবরাহ করেছেন বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছেন।
পুনরায় রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। আরও তথ্যের জন্য এবং এই ঘটনার সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত তাদেরকে আবারও রিমান্ডে নিয়ে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে তা জানা সম্ভব হবে।