গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ) আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থীর দুজন কর্মীকে শোকজ করা হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারে নৌকার প্রার্থী মেহের আফরোজ চুমকিকে হেয় করে এবং জাতীয় নবম ও দশম নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বক্তব্যের অভিযোগে আজ বৃহষ্পতিবার নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি তাঁদের শোকজ করেছে।
তাঁদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এ বিষয়ে ব্যাখা দিতে আগামীকাল শুক্রবার দুপুর ৩টার মধ্যে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা আলিফ রহমান।
শোকজ পাওয়া দুজন হলেন তুমলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বকর বাক্কু মিয়া ও কালীগঞ্জ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাদল মিয়া।
নোটিশে ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর বাক্কু মিয়াকে বলা হয়, তিনি বাড়িয়া ইউনিয়নের সদর উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্তারুজ্জামানের ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণাকালে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মেহের আফরোজ চুমকিকে হেয় করে এবং জাতীয় নবম ও দশম নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বক্তব্য দেন। যা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ১১ (ক) বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আগামীকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টার মধ্যে গাজীপুর-৫ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা ও সিনিয়র সহকারী জজ আলিফ রহমান বরাবর সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
কাউন্সিলর বাদল হোসেনের নোটিশ থেকে জানা যায়, তিনি রাত সাড়ে ১২টা সময় পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্তারুজ্জামানের ট্রাক প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণাকালে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মেহের আফরোজ চুমকিকে হেয় করে এবং জাতীয় নবম ও দশম নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বক্তব্য দেন। যা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ১১ (ক) বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আগামীকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ৩টার মধ্যে গাজীপুর-৫ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা ও সিনিয়র সহকারী জজ আলিফ রহমান বরাবর সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে বাদল মিয়া বলেন, ‘আমি কখন কী বলেছি তা আমার মনে আসতেছেনা। যেহেতু আমাকে ডাকা হয়েছে আমি কালকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়েই এর জবাব দিব।’
ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর বাক্কুকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।