নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা সদরঘাটে লঞ্চ বাঁধার রশি ছিঁড়ে পন্টুনে থাকা পাঁচ যাত্রী নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক (ক্রয় ও সংরক্ষণ) মো. রফিকুল ইসলামকে আহ্বায়ক তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য দুজন সদস্য হলেন তথ্যসংরক্ষণ ও পরিচালন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. আজগর আলী এবং বন্দর শাখার যুগ্ম পরিচালক মো. কবীর হোসেন।
এর আগে বেলা পৌনে ৩টার দিকে ঢাকার সদরঘাটে লঞ্চ বাঁধার রশি ছিঁড়ে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। নৌ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) গৌতম কুমার বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাসরিফ-৪ লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ধাক্কায় পাঁচজন মারা গেছেন।’
নিহতেরা হলেন ঠাকুরগাঁও সদরের নিশ্চিতপুর এলাকার আব্দুল্লাহ কাফীর ছেলে মো. রবিউল (১৯); পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার মাটিচোরা গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে বিল্লাল (২৫), তাঁর স্ত্রী মুক্তা (২৬) ও তাঁদের মেয়ে সাইমা (৩) এবং পটুয়াখালী জেলার জয়নাল আবেদিনের ছেলে রিপন হাওলাদার (৩৮)।
ঘটনার বর্ণনায় সদরঘাট নদী ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার আব্দুল মালেক মোল্লা জানান, এমভি তাসরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামে দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান-৬ নামে আরেকটি লঞ্চ ঢোকানোর সময় এমভি তাসরিফ-৪ লঞ্চের রশি ছিঁড়ে যায়। এতে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন।
আব্দুল মালেক জানান, গুরুতর অবস্থায় একজন নারী, তিনজন পুরুষ ও এক শিশুকে সদরঘাট ফায়ার স্টেশনের অ্যাম্বুলেন্সে করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়।