হোম > সারা দেশ > ঢাকা

পান্থকুঞ্জ-হাতিরঝিল ধ্বংসের প্রকল্প বাতিল না হলে সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলামোটরে বিআইপি কনফারেন্স হলে ৩১টি সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনের আয়োজনে নাগরিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীতে হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ পার্ক ধ্বংস করে এফডিসি থেকে পলাশী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা বাতিল করা না হলে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা সচিবালয় অভিমুখে যাত্রা কর্মসূচি পালন করবেন। আজ বৃহস্পতিবার এক নাগরিক সংলাপে এ কথা বলা হয়।

ঢাকার হাতিরঝিল ও পান্থকুঞ্জ পার্ক ধ্বংস করে এফডিসি থেকে পলাশী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ সড়ক নির্মাণ বাতিলের দাবিতে বাংলামটরে বিআইপি সম্মেলনকক্ষে ৩১টি সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনের আয়োজনে সংলাপটি অনুষ্ঠিত হয়।

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পান্থকুঞ্জ পার্ক হয়ে এফডিসি থেকে পলাশী পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ সড়ক নির্মাণকাজ বন্ধ করা হবে, এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে ধরিত্রী রক্ষায় আমরার (ধরা) উপদেষ্টা মুজিবুল হক হাওলাদার বলেন, ‘ইতিমধ্যে অনেক প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। সেগুলোর মতো এই প্রকল্পও বাতিল করা হবে বলে আমরা আশা করি।’

সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, যদি এখান থেকে উত্থাপিত দাবি মেনে নেওয়া না হয়, তবে সচিবালয় পর্যন্ত যাওয়া হবে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)-এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান। তিনি বলেন, ‘হাতিরঝিল এবং পান্থকুঞ্জ পার্কের মতো এলাকার পরিবেশগত গুরুত্ব বিবেচনা না করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ সড়ক নির্মাণ একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। ঢাকা শহরে সবুজ এলাকা ও জলাধার কমে যাওয়ায় নগরজীবন ইতিমধ্যেই হুমকির মুখে। এই প্রকল্প পরিবেশগত ভারসাম্য আরও নষ্ট করবে।’

এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে যথাযথ পরিবেশ সমীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি, এমনটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের মতামত উপেক্ষা করে কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে তা টেকসই উন্নয়নের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। প্রকল্পগুলো পরিবেশবান্ধব হিসেবে বাস্তবায়ন করা উচিত।

ব্লু প্ল্যানেট ইনিশিয়েটিভ (বিপিআই)-এর মুখপাত্র পরিবেশকর্মী শরীফ জামিল বলেন, কয়েকজনের ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচলের জন্য পান্থকুঞ্জের মতো জায়গা উজাড় করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের কর্মসূচির উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো পরিবেশবাদী আন্দোলনের ক্ষেত্রে ৩৫ দিন অবস্থান করতে হয়নি। এমনকি কোনো ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়েও তা হয়নি। এ রকম বিকারহীন সমাজব্যবস্থা হতে পারে না।

সংলাপে ঢাকা শহরের পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় গণপরিবহনকেন্দ্রিক প্রকল্প গ্রহণে জোর দেওয়া হয়। বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক শায়ের গফুর ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের বিশেষ সম্পাদক পারভীন ইসলামসহ অন্যরা সংলাপে বক্তব্য দেন।

সভা শেষে সংগঠনগুলোর নেতারা পান্থকুঞ্জ পার্কে অবস্থানরত বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজীব বলেন, এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের তিনজন উপদেষ্টা তাঁদের সঙ্গে বসার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।

রাজীব বলেন, পার্ক রক্ষার আন্দোলন করার কথা ছিল না। যদি জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে বিগত সরকারের মতো পদদলিত করা হয়, তাহলে গণ-অভ্যুত্থানে এত আত্মাহুতি কেন দেওয়া হয়েছিল? তিনি বলেন, পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর ফাইভ স্টার হোটেলে সভা বন্ধ করতে হবে। দেশের পরিস্থিতি এবং প্রেক্ষাপট বুঝে ব্যবস্থা নিতে হবে।

জাপানি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির দ্বারপ্রান্তে বেবিচক

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর ১৭ বছর পর কারামুক্ত

প্রেস অ্যাক্রেডিটেশন নীতিমালা পুনর্মূল্যায়নে কমিটি

জাবিতে ছাত্রদলের পরিচিতি সভায় পদ বঞ্চিতদের হট্টগোল–ভাঙচুর

কর না কমালে গ্রামের মানুষকে সুলভে ইন্টারনেট দেওয়া সম্ভব নয়: গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা

মুগ্ধকে পুলিশই গুলি করে হত্যা করেছে: ভাই স্নিগ্ধ

সাবেক এমপি ফাহমী, জিল্লুলসহ পরিবারের ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ছাত্রলীগের বেনজীর হোসেন নিশি রিমান্ড শেষে কারাগারে

রাজউক ৫ ও ৭ অঞ্চলের নকশা অনুমোদন নিয়ে জমির মালিকদের সঙ্গে সভা

প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের নতুন চেয়ারম্যান রইছ উদ্দিন

সেকশন