রাজধানীর ডেমরায় গায়েহলুদের অনুষ্ঠান থেকে কনের পিতা মো. খোকন মুনশিকে (৪৩) কতিপয় সন্ত্রাসীরা তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধর ও ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে ডগাইর পূর্বপাড়া মদিনাবাগ এলাকায় ভুক্তভোগীর ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বরকতুন্নেসা (৬৫) গত শনিবার দিবাগত রাতে ডেমরা থানায় অভিযুক্ত ৫ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জন সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে বরকতুন্নেসা মামলা করতে গেলে প্রথমে অভিযোগ নেয়নি থানা-পুলিশ।
সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মেয়ের গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে মেহেদি হাসান (৩০), ফয়সাল হোসেন (৩০), সাইফুল ইসলাম (৩২), রিয়াজ (৩২) জুম্মন (৩২) নামের দালাল চক্রের ৫ জন এসে কনের পিতা খোকন মুনশিকে মারধর করে। এ সময় তাঁরা নগদ ৩০ হাজার টাকা, ২টি স্বর্ণের আংটি, ১টি স্বর্ণের চেইন ও ১টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।
এ সময় সন্ত্রাসীর যাওয়ার সময় কনের পিতা খোকন মুনশিকে তুলে নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা বাকি বিল্লার অফিসে আটকে ২ লাখ টাকা দাবি করে। খবর পেয়ে খোকন মুনশির শ্যালক ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে খোকন মুনশি বলেন, ‘আমি আড়াই কাঠা জমি বিক্রির মিডিয়া (মধ্যস্ততা) করি। এ নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই বসিয়ে দিলে তাঁদের মধ্যে বায়না বাবদ লেনদেন হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা মনে করেছে মিডিয়া হিসেবে আমি টাকা পেয়েছি। এ খবরে তাঁরা আমার মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটায় ও আমাকে তুলে নিয়ে মারধর করে টাকা দাবি করে। তাঁদের এমন অশোভন আচরণে গায়েহলুদের দিন মান-সম্মান রক্ষায় আমাদের ৩০ টাকাসহ স্বর্ণ দিয়ে দিই।’
এ বিষয়ে ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে দুই পক্ষকে থানায় ডাকা হয়েছে। আর তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সকল আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
