রাজধানীর জুরাইনে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধের ঘটনায় মা-বাবার মৃত্যুর সাত দিন পর মারা গেল পাঁচ বছরের শিশু আফসানা আক্তার। তার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এ নিয়ে ঘটনাটিতে তিনজন মারা গেল। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে দুজন।
আজ বুধবার সকাল ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে শিশুটির মৃত্যু হয়। বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আফসানার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
এর আগে গত রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে জুরাইন মাদবর বাজার সলিমুল্লাহ রোডে আব্দুল মান্নান মাস্টারের চারতলা বাড়ির নিচতলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। গত বৃহস্পতিবার সকালে মারা যান শিশুটির মা মুক্তা খাতুন (৩০)। একই দিন বিকেলে মারা যান তার বাবা আতাহার (৩৫)। আফসানার নানা আলতাফ সিকদার (৭০) ও নানি মর্জিনা বেগম (৫৫) প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছিলেন।
তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা মুক্তার মামা মো. মাহবুব ঘটনার দিন জানান, ওই রাতে তিনি খবর পান, মুক্তার বাবা আলতাফ শিকদারের বাসায় বিস্ফোরণ হয়েছে। তখন তিনি ওই বাসায় গিয়ে অন্যদের সহযোগিতায় দগ্ধ পাঁচজনকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
মাহবুব আরও জানান, ওই বাসায় তিতাসের গ্যাস সংযোগ রয়েছে। তবে সকালে লাইনে গ্যাস থাকে না। সকালে খাওয়ার জন্য মধ্যরাতেই তারা রান্না করে রাখেন। তাঁর ধারণা, নিচতলা বাসায় রাতে গ্যাস লিকেজ হয়ে ভেতরে গ্যাস জমে ছিল। মধ্যরাতে রান্নার সময় সেখান থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
আফসানার চাচা দেলোয়ার হোসেন জানান, তাঁদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গজালিয়া গ্রামে। এক সপ্তাহ আগে মুক্তা স্বামী ও মেয়েকে নিয়ে জুরাইনে বাবার বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। বিস্ফোরণে পুরো পরিবারটি দগ্ধ হয়েছিল।