সারা দেশের মতো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনেও (ডিএনসিসি) আগামী শনিবার (১১ ডিসেম্বর) শুরু হবে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন; চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ সময় ডিএনসিসির ১ হাজার ৯০৫টি কেন্দ্রে মোট ৮ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬১ জন শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ডিএনসিসির নগর ভবনে এক সভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম রেজা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সব শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল বিনা মূল্যে খাওয়ানো হবে। শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমতো ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বার্তাও প্রচার করা হবে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও দৃষ্টিশক্তির জন্য ভিটামিন এ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক অণুপুষ্টি। ভিটামিন এ চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ও শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখে এবং শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। ভিটামিন এ-এর অভাবে রাতকানাসহ চোখের অন্য রোগ, শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, রক্তশূন্যতা এমনকি শিশুর মৃত্যুও হতে পারে।
বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য নীতিমালা অনুযায়ী, বছরে দুবার ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ নেয়। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলের আওতাধীন ৫৪টি ওয়ার্ডে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে। এটি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে এ কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। যাদের পরিবারে শিশু রয়েছে, তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চার দিনের যেকোনো দিন শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়াতে পারবেন।