টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে গৃহবধূ সুমিতা বেগমকে হত্যার অভিযোগে তাঁর স্বামী মিনজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার কোপাখী গ্রামের ওই ঘটনায় রাতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সুমিতার বোনের স্বামী শরীফ মিয়া বলেন, প্রায় ২৬ বছর আগে দেলদুয়ারের কোপাখী গ্রামের মিনজু মিয়ার সঙ্গে মির্জাপুর উপজেলার পাকুল্যা গ্রামের সমেজ মিয়ার মেয়ে সুমিতার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। কয়েক বছর ধরে মিনজু মিয়া শ্বশুরবাড়ির ওয়ারিশ সম্পত্তির ভাগ এনে দিতে সুমিতা বেগমকে চাপ দেন। এ জন্য একাধিকবার সুমিতার ওপর শারীরিক নির্যাতনও চালানো হয়।
শরীফ মিয়া বলেন, স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে একাধিকবার বাবার বাড়ি ফিরে গেছেন সুমিতা। প্রতিবারই নির্যাতন না করার শর্তে সুমিতাকে ফিরিয়ে এনেছেন তিনি। গতকাল শনিবার পারিবারিক সমঝোতার ভিত্তিতে সুমিতাকে বাড়ি ফিরিয়ে নেন মিনজু মিয়া।
সুমিতার ভগ্নিপতি আরও বলেন, সুমিতার সঙ্গে তাঁর মা হালিমা বেগম ও বোন ববিতাও যান মিনজুর বাড়িতে। রাত ১টার দিকে হঠাৎ সুমিতার চিৎকার শুনে পাশের ঘর থেকে ছুটে যান মা হালিমাসহ অন্যরা। পরে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় সুমিতা বেগমের নিথর দেহ পড়ে আছে।
শরীফ মিয়া বলেন, এ সময় ববিতা তাঁর বোনের দিকে এগিয়ে যেতে চাইলে মিনজু মিয়া তাঁকেও রড দিয়ে আঘাত করেন। আহত ববিতা বেগমকে উদ্ধার করে দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির উদ্দিন মৃধা বলেন, নিহত সুমিতা বেগমের বোন ববিতা বেগম বাদী হয়ে দেলদুয়ার থানায় হত্যা মামলা করেছেন। পরে রাতেই মিনজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য জন্য লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।