
কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালন শেষে ফেরার পথে জেলা যুবদল ও ছাত্রদলের দুই নেতার ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এ হামলায় জেলা যুবদল নেতা রাকিবুল ইসলাম বাবুর মাথায় ১১টি ও জেলা ছাত্রদল নেতা আব্দুল খালেক শুভর মাথায় ৫টি সেলাই পড়েছে। তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ মাঠের সামনে চলন্ত মোটরসাইকেল থামিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় চিকিৎসার জন্য তাঁদের সদর হাসপাতালে গিয়ে ভর্তি হয়।
এ বিষয়ে আহত জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মানিকগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘আজ বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি শেষে মোটরসাইকেল যোগে আমি এবং জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক আব্দুল খালেক শুভ বাড়ি ফিরছিলাম। সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের দক্ষিণ-পূর্বপাশে আসামাত্র পেছন দিক থেকে ২৫-৩০ জন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা লোহার রড দিয়ে আঘাত করে ফেলে দেয়। আমরা দুজনের চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যাই। এরপর তাঁরা আমাদের দুজনকে ১০-১৫ মিনিট ধরে লোহার রড দিয়ে মারতে থাকে। একপর্যায়ে আমাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানে ফেলে তাঁরা চলে যায়।’
মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের স্টাফ মো. মোস্তফা বলেন, ‘আহত দুজনের মাথায় বেশ কিছু সেলাই পড়েছে। বাবুর মাথায় ১১টি সেলাই এবং খালেকের মাথায় ৫টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আহতরা এখন শঙ্কামুক্ত আছেন। তবে উন্নত চিকিৎসা এবং নিরাপত্তার জন্য তাঁদের দুজনকে হাসপাতাল থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব তুহিনুর রহমান তুহিন বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি শেষে বাড়ি ফেরার পথে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা যুবদল নেতা বাবু ও ছাত্রদল নেতা শুভকে অমানবিকভাবে লোহার রড দিয়ে পিটিয়েছে। আমরা এই হামলার তীব্র প্রতিবাদ, নিন্দা জানাচ্ছি। একই সঙ্গে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’
অন্যদিকে এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম এ সিফাদ কোরাইশী সুমন বলেন, ‘আগামী মাসের ২৫ জুন আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে। সেই আনন্দে আজ দেবেন্দ্র কলেজসহ জেলার সাতটি উপজেলায় ছাত্রলীগের আয়োজনের আনন্দ মিছিল হয়েছে। এসব নিয়ে আমরা ব্যস্ত ছিলাম। ছাত্রলীগের কোনো নেতা-কর্মী তাঁদের ওপর হামলা বা মারপিট করেনি। আমি যতটুকু জানি, শুভ মাদকাসক্ত ছেলে তাঁরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করতে পারে।’
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বলেন, মারামারির ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। সেখানে পুলিশ গিয়ে কাউকে পায়নি। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।