Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > ঢাকা

‘কিছুই থাকল না, ঈদের আগে ফকির হইয়া গেলাম’

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা

‘কিছুই থাকল না, ঈদের আগে ফকির হইয়া গেলাম’

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বঙ্গবাজারে যেতে সেক্রেটারিয়েট রোডের দুই পাশের ফুটপাতজুড়ে উদ্ধার করা মালামাল। 

আগুনে পুড়তে থাকা বঙ্গবাজার এবং এর লাগোয়া আদর্শ, ইসলামীয়া ও এনেক্স মার্কেটের কাপড়ের দোকান থেকে এসব মাল এনে রাখছেন দোকানি ও মহাজনেরা।

কর্মচারীদের সঙ্গে মাথায় ও ঘারে বহন করে মালামাল টানছেন মালিকেরাও। এসব কাপড়ের স্তূপের ওপর বসে বঙ্গবাজারের ওপরে কালো ধোঁয়ার বড় বড় কুণ্ডলির দিকে অপলক তাকিয়ে আছেন কাজল আকতার ময়না৷

নিঃশব্দে গাল বেয়ে পড়ছে তাঁর চোখের জল। কিছুক্ষণ পরপর আর্তনাদ করছেন, ‘আল্লাহ, আমার একি হইয়া গেল। আমার তো কিছুই থাকল না। ঈদের আগেই ফকির হইয়া গেলাম!’ 

ময়না একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। কামরাঙ্গীরচরে ছোট্ট অ্যামব্রয়ডারির কারখানায় মেয়েদের ‘ওয়ান পিস’ তৈরি করে বঙ্গ, ইসলামীয়া, এনেক্স ও আদর্শ মার্কেটের অন্তত ৩৫টি দোকানে বাকিতে সরবরাহ করেন তিনি।

ঈদ সামনে রেখে একটি ক্ষুদ্র ঋণদাতা এনজিওর কাছ থেকে প্রায় ২৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেছেন ময়না। চোখের সামনে তাঁর সেই বিনিয়োগ পুড়ে ছাই হয়ে গেল। 

আহাজারি করে ময়না বলেন, ‘আইজ থেইকে আমরা তাগাদার টেকা পাইতাম। সেই টেকা দিয়া ইসলামপুরের মহাজনগো বকেয়া পরিশোধ করতাম, সংস্থার কিস্তি দিতাম। এহন কেমনে কী করমু?’

ময়নার মতো অনেকেরই হয়তো এমন প্রশ্ন! কিন্তু সেই প্রশ্নের জবাব কে দেবে তাঁদের? কয়েক ঘণ্টার সর্বগ্রাসী আগুনে অনেকেরই একমাত্র উপার্জনের হাতিয়ার লাখ লাখ টাকার বিনিয়োগ ভস্মীভূত হয়েছে।   

ময়নারা দোকানদারদের সব মালামাল বাকিতে দেন। তাঁরা বিক্রি করে তারপর ময়নাকে টাকা দেন। তাই ঈদ সামনে রেখে যত টাকা লগ্নি করেছিলেন এই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, তার সবই গেছে আগুনে। 

এই সড়কেই ময়নার মতো আরও অন্তত ৪০ জন মহাজনের দেখা পাওয়া গেল। কেউ কেউ মালামালের স্তূপের কাছে নির্বাক দাঁড়িয়ে আছেন, আবার কেউ কেউ আহাজারি করছেন। 

খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা যেভাবে পেরেছেন পড়িমড়ি করে ছুটে এসেছেন বঙ্গবাজারে। দোকানির সঙ্গে মহাজনেরাও নেমে পড়েছেন মালামাল উদ্ধারে৷ 

এমনই এক মহাজন আয়নাল ব্যাপারী বললেন, ‘আমরা এখানে আনুমানিক ৩০ থেকে ৪০ জন মজাহন আছি, এটা ন্যূনতম হিসাব৷ মহাজনদের সংখ্যা এর থেকে আরও বেশি।’

অনেক ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা কাপড় তৈরি করে বাকিতে বঙ্গবাজারে সরবরাহ করেন, দোকানিরা বিক্রি করে তাঁদের টাকা পরিশোধ করেন। ছবি: আজকের পত্রিকাআয়নাল আরও বলেন, ‘মার্কেটে আগুনের ঘটনায় দোকানদারদের থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মহাজনেরা। এই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা খুব কঠিন হয়ে যাবে।’

মহাজন ও দোকানিরা বলছেন, বঙ্গ মার্কেটেই ছোট-বড় অন্তত সাড়ে তিন হাজার দোকান আছে। সবগুলোতেই এই মহাজনেরা মাল দেন বাকিতে।

এবারের আগুনে যে পরিস্থিতি, তাতে অর্ধেকের বেশি মহাজনের পথে বসতে হবে বলে তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।

রাজধানীর বঙ্গবাজারে আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়। এই বাজার ও বর্ধিত অংশে পাঁচ ঘণ্টা ধরে আগুন জ্বলছে। সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মিলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি। 

ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিট কাজ করছে। বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে পানি দেওয়া হচ্ছে। আগুনে বঙ্গবাজারের সহস্রাধিক দোকান পুড়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাবি প্রশাসন শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করছে

ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি, ২৩ জনের নামে মামলা

সেলিম ওসমানের ঘনিষ্ঠ অনুসারী মাকসুদ চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

ভাড়া দিয়ে জায়গা বরাদ্দ নিতে গাবতলী বেড়িবাঁধের ব্যবসায়ীদের ৭ দিন সময়

শ্রীপুরে চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু

গুলশানে বাসায় তল্লাশির নামে তছনছের ঘটনায় মামলা, বাবা–ছেলেসহ গ্রেপ্তার ৩

সিদ্ধিরগঞ্জে বিদেশি রিভলবারসহ যুবক গ্রেপ্তার

কারাগারে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নিরাপদে আছি: শাজাহান খান

২৫৭ কোটি টাকা লেনদেন: সাবেক মন্ত্রী গাজী ও তাঁর স্ত্রীর নামে মামলার অনুমোদন

হরিরামপুরে বিএনপি নেতার বাড়িতে হামলা-লুটপাট, অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে