হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠী শনাক্তকরণে বিদ্যমান মেডিকেল পরীক্ষায় সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা না থাকায় এ পরীক্ষা করাতে গিয়ে নানাভাবে শারীরিক ও মানসিক হয়রানির শিকার হচ্ছে এ জনগোষ্ঠীর মানুষেরা। হয়রানি বন্ধে সরকারের সুস্পষ্ট নীতিমালা থাকা দরকার বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। একই সঙ্গে শিশুদের মধ্যে ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠী সম্পর্কে ধারণা দিতে এ বিষয়টি পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়।
আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ট্রান্সজেন্ডার, হিজড়া ও লিঙ্গ বৈচিত্র্য জনগোষ্ঠী শনাক্তকরণে বিদ্যমান মেডিকেল পরীক্ষা বাতিল সংক্রান্ত এক আলোচনা সভায় এসব দাবি জানানো হয়। সভার আয়োজন করে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে কাজ করা সংগঠন ‘সম্পর্কের নয়া সেতু’।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেন, ‘এখনো ট্রান্সজেন্ডার, হিজড়া ও লিঙ্গ বৈচিত্র্য জনগোষ্ঠী সম্পর্কীয় কোনো নীতিমালা ও আইন তৈরির সময় এ জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি রাখা হয় না। আগামীতে নতুন কোনো নীতিমালা তৈরির সময় এ জনগোষ্ঠী প্রতিনিধি রাখতে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করবো। একই সঙ্গে হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠী শনাক্তকরণে মেডিকেল পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।’
আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য আরমা দত্ত বলেন, ‘হিজড়াদের সম্পর্কে সমাজে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। বাস্তবেও অনেক সমস্যা রয়েছে। অনেক বলছে, হিজড়াদের সংখ্যা বাড়ছে। রাস্তায় অনেকে হয়রানির শিকার হচ্ছে। যারা রাস্তায় নামে তাদের প্রশিক্ষণের আওতায় এনে জীবিকার ব্যবস্থা করতে হবে।’ এছাড়া হিজড়া শনাক্তে শারীরিক ও মানসিক দুই রকম পরীক্ষা করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শাহাজান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক নজরুল ইসলাম আকাশ, জাতীয় মানবাধিকার সংস্থার উপপরিচালক এম. রবিউল ইসলাম, তেজগাঁও থানা হেলথ কর্মকর্তা গাজী আহমেদ হাসান, চিকিৎসক মোহাম্মদ শামসুল আহসান প্রমুখ।