হোম > সারা দেশ > ঢাকা

সন্তানসহ নারী চিকিৎসকের বিষপানের অভিযোগ, শিশুর মৃত্যু

ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জে সাত বছরের সন্তানসহ এক নারী চিকিৎসক বিষপান করেছেন বলে জানা গেছে। পরবর্তীকালে তাঁদের জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে শিশুসন্তানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে ওই নারী চিকিৎসককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

আজ শনিবার সকালে দিকে মানিকগঞ্জ শহরের গঙ্গাধরপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সকাল ১০টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালে শিশুটির মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার। 

ওই নারী চিকিৎসকের নাম মিতা সরকার (৩০)। তিনি ট্রমা সেন্টার নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক। তাঁর মৃত সন্তানের নাম রণজয় মণ্ডল রুশ (৭)। 

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সদর থানার ওসি আব্দুর রউফ সরকার সাংবাদিকদের জানান, মিতা সরকার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তাঁর মাকে নিয়ে মানিকগঞ্জ শহরের গঙ্গাধরপট্টি এলাকায় ভাড়াবাসায় থাকতেন। তিনি ট্রমা সেন্টার নামের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক। 

চিকিৎসক মিতা সরকারের সাবেক শ্বশুর রঞ্জিত কুমার মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পারিবারিক কলহের কারণে দুই বছর আগে আমার ছেলের সঙ্গে মিতা সরকারের ছাড়াছাড়ি হয়। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাসার কাজের মেয়ের কাছ থেকে জানতে পারি, আমার নাতিকে বিষপান করে হত্যার পর মিতা নিজেও বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। আমার নাতিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘মিতা সরকার তার কর্মস্থলের আরেক চিকিৎসকের সঙ্গে পরকীয়াসহ বিভিন্ন অবৈধ সম্পর্কে জড়িত ছিল। পরকীয়ার কারণেই সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সাবেক উপপরিচালক রঞ্জিত মণ্ডলের ছেলে চিকিৎসক রঞ্জন মণ্ডলের সঙ্গে ৯ বছর আগে মিতার বিয়ে হয়। মিতা সরকার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর এলাকার নারায়ণ সরকারের মেয়ে। বিয়ের পর তাঁদের সংসারে রুশর জন্ম হয়। গত দুই বছর আগে মিতা ও রঞ্জনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। বিচ্ছেদের পর থেকে মিতা তাঁর সন্তান রুশকে নিয়ে শহরের গঙ্গাধরপট্টি এলাকার খান মজলিশ টাওয়ারের ছয়তালার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। পাশাপাশি তিনি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ট্রমা জেনারেল হাসপাতালের নিয়মিত গাইনি চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। 

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি আব্দুর রউফ সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহালের জন্য মর্গে স্থানান্তর করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই চিকিৎসক সন্তানসহ বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।’

জাবির মেয়েদের হল থেকে বহিরাগত যুবক আটক

অপ্রশস্ত সেতুতে ভোগান্তি

ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসুর বিরুদ্ধে থানায় জিডি

সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেলের কারখানা পরিদর্শনে ভোক্তা-অধিকারের কর্মকর্তারা

আন্তকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মাইলস্টোন কলেজের সাফল্য

পদ্মা নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

ব্রির ছয় দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা শুরু

সিরাজদিখানে কুকুরের কামড়ে ৫ শিশুসহ আহত ১৫

সাবেক এমপির নামফলক ভেঙে গণপিটুনি খেলেন শ্রমিক দল নেতা

নাগরপুরে আ.লীগ নেতা কুদরত আলী গ্রেপ্তার

সেকশন