নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সিসা দূষণ রোধে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর কার্যকর সহযোগিতা প্রয়োজন। সিসা দূষণের বিরুদ্ধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়বে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তার মোড়ে আন্তর্জাতিক সিসা দূষণ প্রতিরোধ সপ্তাহ উপলক্ষে এক জনসচেতনতামূলক শোভাযাত্রা ও মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
ইউনিসেফের সহযোগিতায় কর্মসূচির আয়োজন করে ইয়ুথনেট গ্লোবাল ও পিওর আর্থ বাংলাদেশ। এ বছর সিসা দূষণ প্রতিরোধ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ছিল ‘সিসা দূষণ বন্ধ হলে, বাড়বে শিশু বুদ্ধি-বলে।’
ইয়ুথনেট গ্লোবাল থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শোভাযাত্রার আয়োজকেরা জানান, সিসা দূষণ বাংলাদেশের জন্য এক ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে, যা বিশেষত শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
আইসিডিডিআর,বি-এর গবেষণায় দেখা যায়, ঢাকার প্রায় ৮০ শতাংশ শিশুর রক্তে উচ্চমাত্রার সিসার উপস্থিতি রয়েছে। যা তাদের স্নায়ুবিক ও শারীরিক উন্নয়নে স্থায়ী ক্ষতি করে।
রিসার্চ ইনভেস্টিগেটর মো. মুসা বাকের বলেন, ‘পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে সিসার প্রভাব স্থায়ী প্রতিবন্ধকতার কারণ হতে পারে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, সিসা দূষণের কারণে প্রতি বছর বাংলাদেশে আনুমানিক ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটে। এ ছাড়াও, সিসা দূষণের কারণে দেশের অর্থনীতিতে প্রতি বছর প্রায় ২৮.৬ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হচ্ছে।
মানববন্ধনে ইয়ুথনেট গ্লোবালের নির্বাহী সমন্বয়ক সোহানুর রহমান বলেন, ‘আমরা শিশুদের স্বাস্থ্য ও সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করছি। সিসা দূষণ প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়।’
সোহানুর রহমান সিসা দূষণ প্রতিরোধে সরকারের কাছে পাঁচটি প্রধান দাবি জানান। উল্লেখযোগ্য দাবির মধ্যে রয়েছে, সিসামুক্ত পণ্য তৈরির জন্য বিশেষ করে শিশুদের খেলনা, অ্যালুমিনিয়ামের বাসনপত্র এবং দেয়াল রঙের মান নিশ্চিত করতে হবে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের ঢাকা ইউনিটের সদস্য সুজানা জহির রাফা, পিওর আর্থ বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।