প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় (পিইসি) জিপিএ-৫ না পেয়ে হতাশ হয়েছিলেন ইমা আক্তার। তারপর অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে বাকি সব পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। এবার তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
ইমা ফরিদপুরের ভাঙ্গা পৌরসভার পূর্ব হাসামদিয়া গ্রামের মুদিদোকানদার শেখ বিলাল হোসেনের মেয়ে। তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। এখন তাঁর স্বপ্ন মানবিক চিকিৎসক হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা। হতে চান গরিবের চিকিৎসক, যেখানে হতদরিদ্র মানুষ পাবে বিনা মূল্যে চিকিৎসা। এ জন্য সবার সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করছেন তিনি।
ইমা বলেন, ‘যখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ি, তখন আমার জিপিএ-৫ আসেনি। সব বন্ধু জিপিএ-৫ পেয়েছিল, অনেকে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি পেয়েছিল। তখন কান্না করলেও আমার মা-বাবা অনেক সান্ত্বনা দিয়েছিলেন। এরপর ভালো কিছু করার প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, যেন মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল হয়।’
ইমার বাবা বিলাল বলেন, ‘আমার মেয়ের সাফল্যের খবর পেয়ে অনেকে খোঁজখবর নিচ্ছেন। ব্রিটিশ-বাংলা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট নামের একটি সংগঠন আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।’
গত শুক্রবার সংগঠনটির প্রতিনিধিদল ইমাদের বাড়িতে গিয়ে আর্থিক অনুদান তুলে দেয়।