গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের সেই স্ত্রী বাঘ (বাঘিনী) গুরুতর অসুস্থ হয়ে অবশেষে মারাই গেল। অন্তত দেড় মাস নানা জটিলতা পার করে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেল বাঘটি।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাঘিনীটি মারা যায় বলে নিশ্চিত করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক সূত্রে জানা যায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে বাঘটির অসুস্থতা চোখে পড়ে তাদের। এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ধীরে ধীরে খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেয় বাঘটি। পার্কের বাঘ বেষ্টনীর পাশে খাঁচায় আটকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে সংগ্রহকৃত রক্তের নমুনা পরীক্ষাগারে (ল্যাবে) পাঠানো হয়। একই সঙ্গে চলে অসুস্থ বাঘটির নিয়মিত চিকিৎসা।
একপর্যায়ে গেল ২৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বাঘটি অল্প অল্প খাবার খাওয়া শুরু করেছিল। চলতি মাসের ৬ মার্চ পর্যন্ত হালকা করে খাবার খাওয়া অব্যাহত রাখে। কিন্তু ৭ মার্চ থেকে ফের খাবার খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দেয়। সপ্তাহ ধরে বাঘটির শারীরিক অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন চলছিল। পরে আজ সকালে বাঘটি মারা যায়। ঘটনার পরেই থানায় জিডি করা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক ইমরান আহমেদ সন্ধ্যায় বাঘ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বাঘটি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিল। বার্ধক্যজনিত রোগেও ভুগছিল। তবে বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে গুরুত্বসহ চিকিৎসা চলছিল। নিয়ম অনুযায়ী মৃত বাঘের ময়নাতদন্ত শেষে পার্কের একটি নির্দিষ্ট স্থানে মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি জিডি করা হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বাঘের মৃত্যুর বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।