সাভারের আশুলিয়ায় একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. আহসানুল্লাহ হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন তাঁরই গাড়িচালক মো. সাইফুল ইসলাম। ঈদের আগে অর্থ আত্মসাৎ করতে তাঁকে অপহরণ করা হয়। পরে নির্যাতনে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে র্যাব।
হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত চারজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ রোববার (৩০ মার্চ) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব এ তথ্য জানায়।
২৩ মার্চ বেলা ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে অফিস থেকে বের হওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন আহসানুল্লাহ। পরিবারের সন্দেহ হলে তাঁরা র্যাবের কাছে অভিযোগ জানান।
তদন্তে উঠে আসে, আহসানুল্লাহ নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই তাঁর ব্যক্তিগত গাড়িচালক সাইফুল ইসলাম সন্দেহজনক আচরণ করছিলেন। পরিবারের সদস্যরা সাইফুলকে আটকের চেষ্টা করলে তিনি ওয়াশ রুমে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে পালিয়ে যান এবং সেদিন রাতেই ঢাকা ছেড়ে গাইবান্ধায় চলে যান।
এর দুই দিন পর ২৫ মার্চ দুপুরে রাজধানীর উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ, যা পরবর্তীবালে আহসানুল্লাহর বলে শনাক্ত হয়।
মামলার তদন্তে তথ্য বেরিয়ে আসার পর র্যাব-১ ও র্যাব-১৩ যৌথ অভিযান চালিয়ে গাইবান্ধা থেকে সাইফুলকে এবং লালমনিরহাট থেকে আরেক অভিযুক্ত নূর নবীকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও দুই আসামির নাম উঠে আসে। পরে গাজীপুরের কাশিমপুর থেকে ইসরাফিল ওরফে ইসরান এবং সর্বশেষ আজ ভোরে সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, ঈদের আগে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য সাইফুল অপহরণের পরিকল্পনা করেন। আহসানুল্লাহকে নির্যাতন করা হয়, একপর্যায়ে তাঁর মৃত্যু হলে মরদেহ ফেলে দেওয়া হয় উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরে।
গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে সাইফুলকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাকি তিনজন তাঁকে সহযোগিতা করেছে। ইতিমধ্যে ইসরাফিল ওরফে ইসরানের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে এবং সুজনকে তুরাগ থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, ঈদের আগে, ঈদের দিন এবং পরবর্তী সময়ে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, অপহরণের মতো ঘটনার ক্ষেত্রে দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে, যাতে দ্রুত অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয়।