নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাস্তার দুর্ভোগ নিরসন না হলে সিটি করপোরেশন ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজধানীর দক্ষিণখান ও উত্তরখানবাসী। তাঁরা বলছেন, বিকল্প সড়ক না রেখে সড়ক খুঁড়ে দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় ভোগান্তির সীমা নেই। আজ শুক্রবার রাস্তার উন্নয়নকাজ দ্রুত শেষ করা ও দুর্ভোগ নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন আয়োজন করেন রাজধানীর দক্ষিণখান বাজারে দক্ষিণখান ও উত্তরখানবাসী।
মানববন্ধনে দক্ষিণখান ও উত্তরখানের নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ইয়াছিন রানা বলেন, ২০১৬ সালে এই এলাকা ঢাকা উত্তর সিটির আওতায় আসার পর থেকে পরিপূর্ণরূপে উন্নয়নকাজ বন্ধ ছিল। সিটি নির্বাচনের ছয় বছর পরে এসেও এখানের চিত্র বদলায়নি। বৃষ্টি হলেই পুরো এলাকা তলিয়ে যায়, হাঁটার মতো অবস্থা থাকে না। সড়ক খনন নীতিমালা না মেনে সব রাস্তা একসঙ্গে কাটায় স্বাভাবিকভাবে মানুষ যাতায়াত করতে পারে না। তিনি বলেন, ‘রাস্তার দুর্ভোগ নিরসন না হলে আমরা সিটি করপোরেশন ঘেরাও কর্মসূচি হাতে নেব।’
মানববন্ধনে দক্ষিণখান ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান খলিল মোল্লা বলেন, ‘আমাদের দুর্ভোগ নিয়ে উত্তর সিটি করপোরেশনের কোনো মাথাব্যথা আছে বলে মনে হয় না। না হয় ভোগান্তি নিরসন হচ্ছে না কেন।’ সব রাস্তা একই সময়ে কেটে ফেলা কোন নীতিমালার মধ্যে পড়ে, তা জানতে চান তিনি।
মানববন্ধনে দক্ষিণখান–উত্তরখানের জনগণ পক্ষে সাতটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হল— ১. কাজের গতি যেকোনো উপায়ে দ্রুত বৃদ্ধি করা। ২. জরুরি চলাচলের জন্য প্রয়োজনীয় রাস্তাগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে লোকবল বৃদ্ধি করে চলাচল উপযোগী করা। ৩. যেসব রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে, সেগুলোর একটি টাইম শিডিউল দিয়ে দিতে হবে, কত দিনের মধ্যে কাজ শেষ হবে—এটা জানিয়ে প্রত্যেক রাস্তায় তা লিখে টানিয়ে দিতে হবে। ৪. যে রাস্তার কাজ যে ঠিকাদার পেয়েছেন, সে ঠিকাদারের প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা ও যোগাযোগের নম্বর জানিয়ে দিতে হবে। ৫. রাস্তার কাজের মান নিয়ে সাধারণ জনগণের মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে—এই বিষয়ে সঠিক তদারকি করতে হবে। ৬. নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে কাজ চলতে দেখা যাচ্ছে, রাস্তার কাজ ভালো মানের উপকরণ দিয়ে করার আদেশ জারি করতে হবে। ৭. কোনো ঠিকাদার যথাযথভাবে কাজ না করলে, কিংবা অনুপস্থিত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।