জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম আহমেদ ওরফে শামীম মোল্লাকে পিটিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে ইংরেজি বিভাগের ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান রায়হান (২০) জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলহাস উদ্দিনের কাছে রায়হান জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দি শেষ হওয়ার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় আসামি রায়হান স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।
গত ২২ সেপ্টেম্বর ভোরে অভিযান চালিয়ে গাজীপুরের হোতাপাড়া এলাকা থেকে ফুপুর বাড়ি থেকে রায়হানকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পিটুনিতে নিহত শামীম আহমেদ সাভারের আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার ইয়াজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে।
তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের (৩৯ ব্যাচ) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকে কয়েক দফায় মারধরে তিনি মারা যান। নিহত শামীম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আট শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জবানবন্দিতে রায়হান এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা কারা জড়িত তা বিস্তারিত তুলে ধরেছেন বলে জানা গেছে।