ঢাকা থেকে বরগুনায় যাওয়া পথে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুনে দগ্ধ হওয়া যাত্রীদের জীবন বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে দ্রুত ঢাকায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। একই সঙ্গে দগ্ধ ও আহত যাত্রীদের রাষ্ট্রীয় খরচে চিকিৎসা নিশ্চিত করাসহ নিহত প্রত্যেক যাত্রীর পরিবারকে যাত্রীসাধারণের অর্থে গঠিত নৌ-দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তহবিল থেকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবিও জানিয়েছে সংগঠনটি। সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।
ঝুঁকিপূর্ণ লঞ্চে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে সার্ভে সনদ ও রুট পারমিট ইস্যুর কারণে এই হতাহতের দায়ে বিআইডাব্লিউটিএ ও সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের দাবি জানিয়ে তিনি আরো বলেন, বাসের মতো লঞ্চেও মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ইঞ্জিন, বডি নিয়ে অসংখ্য লঞ্চ যাত্রীদের জীবন নিয়ে খেলছে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবছর লঞ্চের ভাড়া বাড়ানো হলেও যাত্রীসেবা ও যাত্রীদের নিরাপত্তা এখনো সেকেলে রয়ে গেছে। এতে করে নৌপথের যাত্রীরা প্রতিনিয়ত জীবন হাতে নিয়ে এসব লঞ্চে যাতায়াত করছে।
বিবৃতিতে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে নৌ নিরাপত্তায় দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হয়েছে।