উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
রাজধানীর উত্তরায় বেদে বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বস্তির দুই শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হয়েছে গেছে। এদিকে বাইরে বস্তির লোকজনের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে গেছে। আজ শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে উত্তরার ৮ নম্বর সেক্টরের স্টাফ কোয়ার্টার সংলগ্ন বেদে বস্তিতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৬টি ইউনিট প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।
ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হঠাৎ করে বস্তির একটি ঘর থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে বস্তিবাসী, আশপাশের লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডে একজন নারী এক হাত ও একজন যুবক কিছুটা আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বস্তিবাসীর দাবি, বস্তিতে প্রায় সাড়ে শতাধিক ঘর ছিল। যার মধ্যে দুই শতাধিকের বেশি ঘর মালামালসহ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বস্তির বাসিন্দা কমলা (৪০) আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ছেলে ভেতরে রয়েছে। কিছুক্ষণ আগে আমায় ফোন দিয়ে বলছে, মা তুমি ভেতরে আসো।’
তিনি বলেন, ‘ওই সময় আমি নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। হঠাৎ করেই এই আগুন লাগে। তখন আমি বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ফেলতে গিয়ে শক খাই এবং ছিটকে পরে যাই।’
রাবেয়া নামে এক ভুক্তভোগী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার মেয়েকে নিয়ে আমি থাকি। ঘর ভরা আমার জিনিসপত্র। অনেক কষ্টে এসব আমি করেছি। আমি কিছুই বের করতে পারি নাই। আমার মেয়ের বই খাতা গুলোও আমি বের করতে পারি নাই। আমি মানুষের কাছ থেকে হাত পেতে পেতে এসব নিয়ে আসছিলাম।’
এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উত্তরা জোনের উপসহকারী পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনা হয়েছে। তবে এখনো আমরা বস্তির ভেতরে প্রবেশ করতে পারিনি। যার কারণে হতাহতের বিষয়ে এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না।’
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এখন আমরা সার্চ করব, তারপর সার্চ শেষ হলে হতাহতের বিষয়ে বলা যাবে।’
এ বিষয়ে উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) তাপস কুমার দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ওই বস্তিতে তিন থেকে সাড়ে তিন শত ঘর ছিল। বস্তির লোকজন জানিয়েছে-বস্তিটিতে কেউ মশা তাড়ানোর জন্য আগুন ধরিয়েছিল। সেখান থেকেই এ আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে।’