নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কখনো পুলিশ, আবার কখনো নানা দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। শুধু সুন্দরী নারীদের সঙ্গে প্রেমের জন্যই রুবেল হোসেন এমন পরিচয় দিতেন। একপর্যায়ে সেই সব নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্কে জড়ানো এবং সেই সময়ের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমল করা তার পেশা। একজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে রুবেলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (পিবিআই) যশোর।
আজ শনিবার যশোর জেলা পিবিআই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘রুবেল হোসেন নিজেকে কখনো পুলিশ সদস্য, আবার কখনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে নারীদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তারপর সেই সব নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে সেটির ভিডিও ধারণ করা এবং সেই ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে ভিকটিমসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করেন। এটিই তাঁর পেশা।’
গতকাল ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের পর যশোরের ঝিকরগাছার হাড়িয়া বেলের মাঠ থেকে রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল অভিযোগের সত্যতা ও নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল বলেন, তিনি একজন প্রতারক। ভিকটিমের সঙ্গে পুলিশের এএসআই হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীর সরলতা ও বিশ্বস্ততার সুযোগে ধর্ষণ এবং নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। পরে সেই ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৩ লাখ টাকা চাঁদা হিসেবে নিয়েছেন এবং একাধিকবার ভিকটিমকে ধর্ষণ করেছেন।
গ্রেপ্তারের সময় রুবেলের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়।