মো. লুৎফর রহমান, সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ)
কয়েক দিনের বৃষ্টিতে রাস্তায় গর্ত সৃষ্টি হয়ে এক পাশ ধসে গেছে। বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেল ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন পাঁচ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ। এক বছর ধরে এ চিত্র মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের চরপাড়া মন্দিরের সামনের রাস্তাটির।
স্থানীয়রা বলছেন, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বলা সত্ত্বেও রাস্তাটি মেরামত হয়নি। বৃষ্টিতে ধসে যাওয়া সড়কটি দ্রুত মেরামত করার জোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ শনিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, চরপাড়া থেকে গুচ্ছ গ্রাম হয়ে মানিকগঞ্জ যাওয়ার চরপাড়া মন্দিরের সামনের সড়কে গর্ত হয়ে এক পাশ ভেঙে পড়ে আছে। গত বছর কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এই রাস্তাটিতে গর্তের সৃষ্টি হয়ে ধসে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন দক্ষিণপাড়া, নয়াপাড়া, চরপাড়া, পাড়তিল্লী ও চরতিল্লী গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
স্থানীয় কৃষক বিপেন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীর্ঘ এক বছর যাবৎ এই সড়কটিতে গর্ত হয়ে ভেঙে পড়ে আছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বারবার বলা সত্ত্বেও কোনো লাভ হয়নি। এতে আমাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য পরিবহন না করতে পেরে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।’
কথা হয় চরপাড়ার কৃষক আজাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এবার চার বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি গোখাদ্য হিসেবে বিক্রি করব এই আশায়। কিন্তু এই রাস্তা ভাঙার কারণে কোনো পাইকার আসছে না ভুট্টা কেনার জন্য।’ তিনিসহ অন্য কৃষকেরা উৎপাদিত পণ্য পরিবহন করতে না পেরে হতাশায় ভুগছেন।
আওয়ামী লীগের হরগজ ইউনিয়নের সভাপতি মো. আদম আলী বলেন, এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির বৃষ্টিতে ভেঙে যায় এক বছর আগে। এতে দক্ষিণপাড়া, নয়াপাড়া, চরপাড়া, পাড়তিল্লী ও চরতিল্লী এই পাঁচ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। এ ছাড়া কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য এই রাস্তা দিয়ে ট্রাকযোগে বাজারজাত করতে পারছে না। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. নাজমুল করিম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি মেরামতের প্রয়োজন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।