নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর কলাবাগানে একটি বাসায় আট বছর বয়সী গৃহকর্মী হেনাকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন গৃহকর্ত্রী সাথী পারভিন ডলি।
আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন সাথী।
দুপুরের পর কলাবাগান থানা পুলিশ সাথীকে আদালতে হাজির করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কলাবাগান থানার এসআই বাবুল হোসেন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন। পরে আদালত স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করার পর আসামি সাথীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত শুক্রবার গৃহকর্ত্রী সাথী পারভিনকে যশোর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গৃহকর্মীকে হত্যার পর সাথী তার সন্তানকে নিয়ে যশোরে প্রাক্তন স্বামীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
একটি সূত্রে জানা গেছে, জবানবন্দিতে সাথী বলেছেন কলাবাগানের ভূতের গলি এলাকায় তিনি ভাড়া বাসায় থাকেন। তিনি ময়মনসিংহে একটি প্রশিক্ষণে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পথে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার নন্দীবাড়ি গ্রামের হক মিয়া ও মা হাসিনা বেগমের শিশুকন্যা হেনাকে সঙ্গে নিয়ে আসেন।
হেনা প্রায়ই সাথীর সন্তানের খাবার খেয়ে ফেলত। তারপর খেলতে গিয়ে সন্তানের সঙ্গে মারামারি করত। এটা ওটা ভেঙে ফেলত। এ নিয়ে সব সময়ই গৃহকর্মীকে মারধর করতেন সাথী। গত ২৫ আগস্ট সন্তানের খাবার খাওয়ার পর সাথী আক্তারের প্রচণ্ড রাগ হয়। এরপর তিনি হেনাকে নির্যাতন করেন। মারধর করেন। একপর্যায়ে গলা টিপে হত্যা করেন। তারপর তিনি সন্তানকে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যশোর চলে যান।
সাথী আক্তার আদালতকে আরও বলেছেন, এ ঘটনায় তিনি অনুতপ্ত।
জানা গেছে, গত ২৬ আগস্ট দুপুরে কলাবাগান থানার ভুতের গলির একটি বাসায় গৃহকর্মীর লাশ পড়ে আছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে স্থানীয় লোকদের সহায়তায় ১০ বছর বয়সী হেনার লাশ উদ্ধার করে।
লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় সাথীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে।