পিস্তল ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভাঙচুরের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারহা দিবা ছন্দা কারাগারে পাঠানোর এ নির্দেশ দেন।
সন্ধ্যায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাঁকে আদালতে হাজির করে পল্টন থানা-পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পল্টন থানার এসআই ফরহাদ মাতুব্বর এক প্রতিবেদনে প্রিন্সকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানান। অন্যদিকে প্রিন্সের পক্ষে আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতের প্রসিকিউশন দপ্তরের পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে ৫ নভেম্বর প্রিন্সকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। পিস্তল ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভাঙচুরের অভিযোগে খিলক্ষেত থানার উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ১ নভেম্বর পল্টন মামলা দায়ের করেন। খিলক্ষেত থানার এসআই শফিকুল ইসলাম গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে কর্তব্যরত ছিলেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি ঘোষিত মহাসমাবেশের কার্যক্রম হঠাৎ ভেঙে গেলে শান্তিনগর মোড় এবং ফকিরাপুল মোড় অতিক্রম করার সময় বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে যেতে থাকেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা। তখন এজাহারনামীয় আসামিরা এবং বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের অজ্ঞাতনামা পলাতক ৪০০-৫০০ নেতা-কর্মী বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস ও আবদুস সালামদের উসকানিতে ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় পল্টন মডেল থানাধীন পুলিশ ক্যানটিনে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাঙচুর এবং তাণ্ডবলীলা চালান। পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালান। এএসআই এরশাদুল হককে আহত করে তাঁর পিস্তল ছিনিয়ে নেন।