আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে (শ্রীনগর-সিরাজদিখান) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে বর্তমান এমপি মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ তিনজনের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবু জাফর রিপন বিপিএএ মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করেন।
এ সময় বিভিন্ন ত্রুটি ধরা পড়ায় তিনজনের প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করা হয়। তাঁরা হলেন–এই আসনের বর্তমান এমপি মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী মুহাম্মদ ফরিদ হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার কবির।
এই আসন থেকে মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়া প্রার্থীরা হলেন–আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, প্রয়াত ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার মেয়ে তৃণমূল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অন্তরা সেলিমা হুদা, জাতীয় পার্টির শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, জাকের পার্টির হাজি আতাউর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির লতিফ সরকার, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির দোয়েল আক্তার এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী নূর জাহান বেগম রিতা।
এদিকে এই আসন থেকে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। এঁদের মধ্যে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবু জাফর রিপন বিপিএএ। তিনি বলেন, ১১ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বিভিন্ন ত্রুটি থাকায় তিনজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাতিল করা ব্যক্তিদের ভুল সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনে আপিলের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরী একটি প্রতিষ্ঠানের ঋণের জামিনদার ছিলেন। ওই প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে তথ্য দেওয়া হয়েছে। এ জন্য তাঁর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম সারোয়ার কবির এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের একটি তালিকা দিয়েছিলেন। সেখানে ১০ জনের মধ্যে একজনেরটি সঠিকভাবে পাওয়া যায়নি, এ জন্য তাঁরও মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
এ ছাড়া বিএনএমের প্রার্থী মুহাম্মদ ফরিদ হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিলের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, তাঁর প্রস্তাবকারী সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটার ছিলেন না।