ছেলে আর ভাতিজার খোঁজে আজ শুক্রবার বিকেলে ঢামেকের মর্গের সামনে হাজির রিকশাচালক কবির হোসেন। হাতে একটি ছেলের ছবি। সে ছবি দেখিয়ে বলছেন এটা আমার ছেলে। আমি তাঁকে খুঁজছি।
কবির হোসেন বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জানতে পারি নারায়ণগঞ্জের একটি কারখানায় আগুন লেগেছে। তখন জানতাম না আমার ছেলে রাকিব হোসেন (১৭) ও ভাতিজা হাসনাইন (১২) যে কারখানায় কাজ করে সেখানকার ঘটনা এটি। পরে সন্ধ্যা ৭টার বিষয়টি দিকে জানতে পারি। শুনেই গাজিপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ছুটে যাই। কিন্তু ছেলে আর ভাতিজার খবর পাইনি। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, যারা মারা গেছেন তাঁদের সবার লাশ ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। শুনেই ঢামেকের উদ্দেশ্যে রওনা দিই।
কবির হোসেন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, গত ৩ দিন আগে ছেলের সঙ্গে মোবাইলে শেষ কথা হয়েছিল তাঁর। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ছেলে আর ভাতিজাকে কয়েকশতবার কল দিয়েছি। কিন্তু কয়েক মিনিট পর থেকেই তাঁদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। প্রতি মাসে আমার ছেলে বাড়িতে ৫ হাজার টাকা করে পাঠাত। তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে রাকিব সবার বড়। কিন্তু এই আগুন যে আমার কপালে লাগবে তা বুঝি নাই।
উল্লেখ্য, এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ৪২ মিনিটে উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৫২ জনের লাশ ঢামেকের মর্গে পাঠানো হয়।