উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
রাজধানীর উত্তরার প্রতিটি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম চালাচ্ছে র্যাব-পুলিশ। তবে চেকপোস্ট থেকে কাউকে আটক বা গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়নি।
উত্তরার বিএনএস সেন্টারে ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কে, ঢাকা-আশুলিয়া মহাসড়কের ধউর চেকপোস্ট ও উত্তরার কামাড়পাড়া এলাকায় আজ শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তল্লাশির কার্যক্রম দেখা যায়।
এ ছাড়াও উত্তরখানের তেরমুখ ব্রিজ, দক্ষিণখানের আজমপুর, আব্দুল্লাহপুর রেলগেট, কসাইবাড়ী, হাজী ক্যাম্প, বিমানবন্দরের জসিম উদ্দিন পাকার মাথা, আশুলিয়ার বিরুলিয়া ব্রিজ এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকে তল্লাশি কার্যক্রম চালাতে দেখা যায়।
এ ছাড়াও খিলক্ষেতের ৩০০ ফিট এলাকায়ও র্যাব-পুলিশের চেকপোস্ট লক্ষ্য করা গেছে।
র্যাব ও পুলিশের একাধিক সূত্রে আজকের পত্রিকাকে বলেছে, ‘পল্টনে আগামীকাল (শনিবার) বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এ বিশেষ তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
চেকপোস্ট গুলোয় ঘুরে দেখা যায়, সন্দেহজনক প্রতিটি দূর পাল্লার বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল তল্লাশি করা হচ্ছে।
আব্দুল্লাহপুরের পলওয়েল মার্কেটের সামনে নিরাপত্তা তল্লাশি বসিয়েছে র্যাব-১। সেখানে কর্মরত ডিএডি এফ এম ইমতিয়াজ আলী আজকের পত্রিকা বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রম সকাল থেকেই চলছে। কিন্তু পালা বদল হয়ে আমি দুপুর থেকে তল্লাশি চালাচ্ছি। পরবর্তী আদেশ না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
ডিএডি ইমতিয়াজ আলী বলেন, ‘তল্লাশির আওতায় প্রাইভেটকার, মাইক্রো, সিএনজি, বাস, মোটর সাইকেল রয়েছে। র্যাব-১ এর পক্ষ থেকে ৩০০ ফিট এলাকা ও মহাখালীর আমতলী এলাকাতেও চেকপোস্ট পরিচালনা করা হচ্ছে।’
উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনের চেকপোস্টে কর্মরত উত্তরা পূর্ব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাকিবুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ঢাকার প্রবেশমুখে রেগুলার চেকপোস্ট পরিচালনা করি। আজও চেকপোস্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত চেকপোস্ট থেকে কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয় নাই।’
তিনি বলেন, ‘বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রো, মোটরসাইকেল, যখন সেটি সন্দেহ হয় সেটি তল্লাশি করছি।’
উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী আবুল কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তেরমুখ ব্রিজ এলাকায় আমাদেরকে চেকপোস্ট চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু গতকাল রাতে (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে) আমরা পাঁচজনকে আটক করেছিলাম।’
উত্তরার বিভিন্ন চেকপোস্ট থেকে ও বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে মোট আটকের বিষয়ে জানতে উত্তরা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম ও উত্তরা জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) শাহিন মির্জার সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও তাদের পাওয়া যায়নি।