নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার নির্যাতনে নিহত যুবদল নেতা মাহাবুবের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে উপজেলার পাঁচরুখী মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
এ সময় কেন্দ্রীয় যুবদলের নেতারাসহ জেলা ও মহানগর বিএনপির বিপুল পরিমাণ নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন। জানাজা পূর্ব বক্তব্যে হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িতদের বিচার ও উপযুক্ত শাস্তি চাওয়া হয়।
মাহাবুব আলমের জানাজায় বক্তব্য দেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, বিএনপির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদসহ অনেকে।
এদিকে মাহাবুব আলম হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৮ জনকে আটক করেছে আড়াইহাজার থানা-পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক তৈয়ব বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত কিসমত ও কামালসহ ৮ জনকে আটক করেছি। মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের হাশমত মিয়ার এক আত্মীয়ের কাছ থেকে জমি কেনেন মাহাবুব। জমির কেনার পর সেই জমি পৈতৃক সূত্রে দাবি করেন হাশমত। এ নিয়ে বিরোধ চলছিল। পরবর্তীতে স্থানীয় সালিসের মাধ্যমে জমিটি কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দেন হাশমত। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে বায়না বাবদ মাহবুবকে ৩ লাখ টাকা দেন হাশমত। কিন্তু পরবর্তীতে হঠাৎ সেই টাকা ফেরত চান হাশমত। মাহাবুব সেই টাকা খরচ করে ফেলায় টাকা পরিশোধের জন্য কিছুদিন সময় চান। এ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জেরে মঙ্গলবার সকালে মাহাবুবকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।