মানিকগঞ্জের ঘিওরে বঙ্গবন্ধু কর্নারে ফুটে উঠেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস। নান্দনিকভাবে সজ্জিত এই কর্নারের সৃজনশীলতা, স্থাপত্যশৈলী এবং অবয়বে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা।
উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত পরিপাটি ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের একটি কক্ষ। কক্ষের চারপাশেই সুদৃশ্য আলমারির তাকজুড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর দুষ্প্রাপ্য সহস্রাধিক বইয়ের সংগ্রহশালা। রয়েছে বিভিন্ন ঐতিহাসিক আলোকচিত্র। প্রবেশদ্বারে স্বচ্ছ কাচের দরজা। প্রয়োজনে ব্যবহৃত হয় শীতাতপ। দর্শনার্থীরা আরামদায়ক চেয়ারে বসে বই পাঠ করছেন, অনেকেই ঘুরে ঘুরে দেখছেন প্রদর্শিত ছবিগুলো। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও দেখছেন এবং বই পড়ছেন।
তথ্য মতে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রচেষ্টায় নির্মিত এই কর্নার ৭ মার্চ ঐতিহাসিক দিনে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ। উদ্বোধনের পর থেকেই ভিড় বেড়েছে এখানে। সাত দিনই খোলা থাকছে এই কর্নার। ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের ভিড় বেশি হয়।
মারিয়া ও শৌখিন আক্তার শেফা নামে দুই স্কুলশিক্ষার্থী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখান থেকে বই পড়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছি। টিফিনের সময় বান্ধবীরা মিলে এখানে এসে বই পড়তাম। এখন স্কুল বন্ধ, তাই আজ বাবার সঙ্গে এসেছি।’
ঘিওর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক গৌরাঙ্গ কুমার ঘোষ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখান থেকে আমাদের আগামীর প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বড় হবে। এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়।’
ঘিওর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী শোভন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই কর্নার থেকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছি, যা আগে জানা ছিল না। তবে কর্নারের জায়গাটি আরও বড় হলে ভালো হতো।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হামিদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন, আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে আমার কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় নান্দনিকভাবে স্থাপন করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’। এখান থেকে আমাদের আগামী প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বড় হবে। ৭ মার্চ উদ্বোধনের পর থেকে প্রতিদিন ভিড় বাড়ছে দর্শনার্থীদের।’