পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর পাংশায় ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠান নিয়ে ফেসবুকে ‘আপত্তিকর’ পোস্ট দেওয়ায় এক প্রভাষককে শোকজ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী তাঁকে কারণ দর্শান।
কারণ দর্শানোর নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ পাংশা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত এ অনুষ্ঠান নিয়ে গতকাল বুধবার সকালে ফেসবুকে একটি ‘আপত্তিকর’ পোস্ট দেন পাংশা সরকারি কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রভাষক শামীমা আক্তার মিনু।
শামীমা আক্তার মিনু তাঁর পোস্টের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছেন। এ জন্য দেশের প্রচলিত আইনে মামলা করাসহ তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে কেন সুপারিশ করা হবে না, আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তা লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়।
এ বিষয়ে প্রভাষক শামীমা আক্তার মিনু বলেন, ‘আমি যা পোস্ট করেছি, তা এখনো আমার ফেসবুকে আছে। ওখানে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কিছু লেখা হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। আমি আজ কলেজে ছিলাম না। নোটিশ এখনো হাতে পাইনি। তবে বিষয়টি শুনেছি। এই লেখায় যদি অপরাধ করে থাকি, তাহলে শিক্ষক হয়ে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, প্রভাষক শামীমা মিনু তাঁর ফেসবুক আইডিতে যা লিখেছেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বিষয়গুলো নিয়ে জনমনে অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করেছে। যা সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯-এর অনুচ্ছেদ ১০-এর উপানুচ্ছেদ (৪), (ছ) এবং (বা) অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীদের জন্য পরিহারযোগ্য কাজ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাংশা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন মো. ইয়ামিন আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফেসবুকে পোস্ট করার বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন। পোস্টটি করায় কলেজের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ বিষয়ে তিনিও একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব চাওয়া হয়েছে।