গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়া এবং বর্তমান সংসদ সদস্য তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে সিমিন হোসেন রিমির মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে তাজউদ্দীন আহমদের ভাগনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের উপদেষ্টা ও শিল্পপতি আলম আহমেদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
আজ সোমবার সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাইকালে ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে তাঁর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের পাঁচটি সংসদীয় আসনে দাখিল করা মনোনয়নপত্র গতকাল রোববার ও আজ সোমবার বাছাই করা হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভাওয়াল সম্মেলনকক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাছাই করেন।
এ সময় গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান, কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান উপস্থিত ছিলেন।
আসন্ন নির্বাচনে কাপাসিয়ায় মোট আটজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আজ বাছাইয়ের শুরুতে কাপাসিয়া আসনে মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়।
বাছাইকালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত, তাজউদ্দীন আহমদের ভাগনে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের উপদেষ্টা আলম আহমেদের মনোনয়নপত্র ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে বাতিল ঘোষণা করা হয়। তবে তিনি এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন বলে জানানো হয়।
কাপাসিয়া আসনে বৈধ প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তাজউদ্দীন আহমদের কন্যা এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বর্তমান এমপি সিমিন হোসেন রিমি, জাকের পার্টির প্রার্থী জুয়েল কবির এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সামসুল হক, জাতীয় পার্টির সামসুদ্দিন খান, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির মাসুদ চৌধুরী ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফ্রন্টের (বিএনএফ) প্রার্থী সারোয়ার ই কায়নাত, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির আব্দুর রউফ খান।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি হবে ৬-১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে। প্রার্থিতা প্রত্যাহার হবে ১৭ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর। ২০২৪ সালের ৫ জানুয়ারি প্রচারণার শেষ দিন। ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।