গাজীপুরের টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা আয়োজনের অনুমতি চেয়ে মহানগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেছে ‘সচেতন ছাত্রসমাজ’। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা তাবলিগ জামাতের পক্ষ থেকে মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আসার নিশ্চয়তা চান।
আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের সামনে শুরু হওয়া কর্মসূচি বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে। তাতে বিভিন্ন ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থী অংশ নেন। মানববন্ধন চলাকালে চান্দনা-শিববাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়।
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, আগামীকাল সোমবার রাত ১২টার মধ্যে তাঁদের দাবির বিষয়টি সুরাহা না হলে পরদিন মঙ্গলবার সারা দেশ থেকে লক্ষাধিক সচেতন ছাত্র প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। পরে তাঁরা গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে একটি স্মারকলিপি দেন।
জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) ইলতুৎমিশ স্মারকলিপি গ্রহণের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘বৈষম্য দূরীকরণের উদ্দেশ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। আমরা সচেতন ছাত্রসমাজ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সরকার বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ক্ষেত্রে অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করবে এবং ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা হবে।’
‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ করছি, তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে, যা দেশের আইনশৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতার জন্য ক্ষতিকর। জুবায়ের গ্রুপ প্রতিবছর তাদের সর্বোচ্চ মুরুব্বিদের নিয়ে ইজতেমা আয়োজনের সুযোগ পেয়ে থাকে। এ বছরও তারা টঙ্গীর ময়দানে পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা আয়োজন করেছে। সে ক্ষেত্রে মাওলানা সাদ অনুসারীদেরও তাদের সর্বোচ্চ মুরুব্বিকে বাংলাদেশে এনে ২০-২৪ ডিসেম্বর পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা করার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
‘আমরা আর কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা দেখতে চাই না। দেশব্যাপী স্থিতিশীলতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য আমাদের এই দাবি পূরণে ১৬ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় ১৭ ডিসেম্বর সারা দেশ থেকে লক্ষাধিক সচেতন ছাত্র প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালনে বাধ্য হব।’