গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানার ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কৃষক দল ও যুবদল নেতার সমর্থকদেরে মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলি চালানো হয়। ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি গাড়ি। আজ বুধবার সকালে শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়াইদেরচালা গ্রামের এসকিউ সেলসিয়াস লিমিটেড নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানার সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জানা যায়, গাজীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. পলাশ তার বাবা শাহজাহানের চঞ্চল এন্টারপ্রাইজ নামে থাকা এসকিউ সেলসিয়াস লিমিটেড কারখানার ঝুট বের করতে গাড়ি নিয়ে কারখানায় প্রবেশ করেন। এ সময় জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঝুট বের করতে বাধা দেয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানোর পাশাপাশি গুলি চালানো হয় এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় । এ সময় ঘণ্টাব্যাপী দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে।
স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী আনিছুর রহমান বলেন, ‘হঠাৎ করে দুই পক্ষের ১ হাজারের মতো লোকজন দুই ভাগে এসে দুই দিক থেকে হামলা চালায়। সবার হাতে দা, লাঠি, ছুরি ছিল। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে আমরা আতঙ্কিত হয়ে দোকান বন্ধ করে দেই।’
গাজীপুর জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি ঢাকায় রয়েছি। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। হামলা কে করছে সে বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’
এসকিউ সেলসিয়াস লিমিটেড কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘চঞ্চল এন্টারপ্রাইজ নামক একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বৈধভাবে ঝুট ব্যবসা করছে। আজ দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে কারখানার সামনে।’
শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘একটি কারখানার ঝুট ব্যবসা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের বিষয় জেনেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’
গাজীপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে তদন্ত হবে।