মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পদ্মার শাখা নদীতে ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুর দেড়টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ভাসমান ক্রেন ক্ষণিকা-১ এর মাধ্যমে ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এখনো দুজন নিখোঁজ রয়েছেন।
ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতরা হলো নারায়ণগঞ্জের কাশিপুর এলাকার ফারুকের মেয়ে ফাইজা (৬) এবং টঙ্গিবাড়ী উপজেলার মান্দ্রা এলাকার নজরুল ব্যাপারীর মেয়ে শিফা (১৫)।
নিখোঁজ দুজন হলেন–জেলার সিরাজদিখান উপজেলায় মালখানগর ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য হারুন অর-রশীদ (৫৫) ও রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার মাহফুজুর রহমান (৩৫)।
এর আগে, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে খেয়া পারাপারে ব্যবহৃত ওই ট্রলারটি নদীর অপর প্রান্তের পদ্মারচর থেকে হাসাইল বাজারে আসছিল। পথে বালুবাহী বাল্কহেড ধাক্কা দেয়, এতে অন্তত ৪০ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় ট্রলারটি। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা এগিয়ে গিয়ে কিছু যাত্রীকে উদ্ধার করে। ঘটনার পরপরই দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
দুর্ঘটনার পর বাল্কহেডটি রেখেই পালিয়ে যায় বাল্কহেডের চালক ও কর্মীরা। পরে বাল্কহেডটি টঙ্গীবাড়ি থানা–পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করে।
টঙ্গীবাড়ি ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার আতিকুর রহমান জানান, আজ ভোর থেকে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। এ ঘটনায় দুজন নিখোঁজ রয়েছে বলে স্বজনেরা দাবি করছেন। সকালে ডুবে যাওয়া ট্রলারে কাছাকাছি স্থান থেকে একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে কোস্টগার্ড ডুবুরি দল।
চর আব্দুল্লাহপুর নৌ-পুলিশের ইনচার্জ মো. হাসনাত জামান বলেন, ‘আমরা গতকাল রাতে খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযানে যোগ দেই। সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ডের ডুবুরি দল রয়েছে। দুজনের লাশ গতকাল রাতেই উদ্ধার হয়েছে। নিখোঁজদের স্বজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুজন নিখোঁজ রয়েছে। ভাসমান ক্রেন ক্ষণিকা-১ এর মাধ্যমে দুপুর দেড়টার দিকে ডুবে যাওয়া টলারটি আমরা টেনে তুলতে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু ট্রলারে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি।’ নিখোঁজদের সন্ধানে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।