‘আমি অচল মানুষ, বাইচ্যা থাকমু কয়দিন, ভোটটা দিয়ে গেলাম। মনের মতো দিতে পারছি, সমস্যা হয় নাই।’ এমন কথা বলেন রামানন্দ মণ্ডল নামে সত্তরোর্ধ্ব এক ব্যক্তি। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফরিদপুর শহরের হিতৈষী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।
শুধু রামানন্দ নয় বিভিন্ন কেন্দ্রেই তাঁর মতো বয়স্ক ব্যক্তিদের ভোট দিতে দেখা যায়। ফরিদপুর-৩ আসনের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়ে।
শহরের হিতৈষী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন বেদনা দাস নামে ষাটোর্ধ্ব নারী ভোটার। ভোট দিতে পারায় ভালো লাগছে বলে জানান। বায়তুল মোকাদ্দাম কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন পদ্মা দত্ত (৬২)। এই নারীর ভাষ্য, ভালোভাবে ভোট দিতে পেরেছেন।
এদিকে সকাল ৯টায় শহরের ১৭ নং আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন ফরিদপুর-৩ আসনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামীম হক। শান্তিপূর্ণভাবে মানুষ ভোট দিচ্ছে বলে জানান তিনি।
একই সময়ে হিতৈষী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ। তিনি অভিযোগ করেন, শহরের সাজেদা কবির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের মেরে বের করে দেওয়া হয়েছে। হুমকি দেওয়া হয়েছে, ‘তোরা যদি এখানে আসিস মেরে ফেলব।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা এলাকা ঘুরে দেখেছি, মানুষ নির্বিঘ্নে ভোট দিচ্ছে। সকাল থেকে এখনো অবস্থান ভালো, আশা করছি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটবে না। বিভিন্ন জায়গা আমাদের স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করছে। পাশাপাশি অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও সজাগ রয়েছে। এ ছাড়া সাধারণ কেন্দ্র থেকে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো আমাদের বিশেষ নজর রয়েছে।’