নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দুদকের মামলায় চার বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন দাখিলের পর আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ তাঁকে জামিন দেন।
এর আগে গত ২৯ জুন তার মেডিকেল রিপোর্ট চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। মেডিকেল বোর্ড গঠন করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের এক মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের এমডি রফিকুল আমিনসহ ৪৬ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে গত ১২ মে রায় দেন বিচারিক আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়।
রায়ে ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমিনের ১২ বছর কারাদণ্ড ও ২০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড, চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনের ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং প্রেসিডেন্ট এম হারুন-অর-রশীদের চার বছরের কারাদণ্ড ও ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। বাকি আসামিদের ৫ থেকে ৯ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হারুন-অর-রশীদ। পাশাপাশি জামিনও চান তিনি। গত ৯ জুন হারুন-অর-রশীদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি এবং ডেসটিনি ট্রি প্লান্টেশন প্রজেক্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় দুটি মামলা করে দুদক। দুই মামলায় মোট ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে দুদক আদালতে উভয় মামলায় অভিযোগপত্র দেয়। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। হারুন-অর-রশিদ ও রফিকুল আমিন দুই মামলাতেই আসামি।
আদালতে হারুন-অর-রশীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রবিউল আলম বুদু। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।