রোগী হয়ে হাসপাতাল থেকে নয়, মশার লার্ভা পর্যায়ে থাকা অবস্থায় এডিস মশার উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে তথ্য দিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। আজ বুধবার সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ হাইওয়ে সংলগ্ন দক্ষিণ সিটির ৫৮ ও ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডস্থিত ঢাকা ম্যাচ কলোনির জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, আমরা তো মানুষের ছাদে উঠতে পারি না। আপনারা যদি নিজে পরিষ্কার না করতে পারেন আমাদেরকে জানান। আমরা এসে পরিষ্কার করে দেব। প্রতিবেশীর আঙিনায় পানি জমে থাকলেও আমাদেরকে জানান। আমরা কাউন্সিলরসহ উপস্থিত হব, আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত উপস্থিত হবে। শুধু আমাদেরকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। কারণ এত বিস্তীর্ণ এলাকা, এত বড় এলাকায় ঘরে ঘরে গিয়ে এটা সম্ভব না। রোগী হওয়ার আগেই তথ্য দিন। রোগী হওয়ার পর হাসপাতাল থেকে তথ্য নিয়ে লাভ হয় না। প্রজননের আগে লার্ভা পর্যায়ে তথ্য দিন।
মশা নিধনে সিটি করপোরেশন সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ঢাকা শহরের প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে পূর্ণশক্তি নিয়ে কাজ করছে সিটি করপোরেশন। সিটি করপোরেশনের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে কীটনাশক, জনবল ও যন্ত্রপাতি রয়েছে। এ ছাড়া সদিচ্ছা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আমরা কাজ করে চলেছি।
পরে মেয়র নগরীর ৫৯,৫৮ ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এমন আরও বেশ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেন।
এরপর মেয়র ডিএসসিসি পরিচালিত ঢাকা মহানগর শিশু হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, পুরোনো ঢাকার মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সেবায় এই হাসপাতালের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমরা এই হাসপাতালের আধুনিকায়ন করব। সে লক্ষ্যেই আজকের পরিদর্শন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের ও মুন্সি আবুল হাশেম এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
