নারায়ণগঞ্জের লিংক রোডের চানমারী এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলছে। আজ রোববার ১টা থেকে দুপুর সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। সংঘর্ষে অন্তত অর্ধশতাধিক আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন।
রোববার সকাল থেকেই আন্দোলনকারীরা সড়কে জড়ো হতে থাকেন। দুপুর ১টার দিকে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ ডিসি অফিস ও পুলিশ কার্যালয়ের সামনে ভাঙচুর শুরু করলে অ্যাকশনে যায় পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাস ও ছররা গুলি। যদিও আন্দোলনকারীদের কয়েকজন গুলি ছোড়ার অভিযোগ তুলেছেন পুলিশের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে থেকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের দিকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়লে পিছু হটে আন্দোলনকারীরা। অন্তত অর্ধকিলোমিটার দূর পর্যন্ত তাদের হটিয়ে দেয় পুলিশ। বর্তমানে চাষাঢ়া গোলচত্বর থেকে কিছুটা দূরে অবস্থান করছে পুলিশ। আন্দোলনকারীরা সামনে এগিয়ে গেলেই তাদের দিকে কাঁদানে গ্যাস ও ছররা গুলি নিক্ষেপ করা হচ্ছে।
পুলিশের বাধার মুখেও আন্দোলনকারীরা চাষাঢ়া গোলচত্বর থেকে সরছে না। অন্তত ৭ হাজার আন্দোলনকারী অবস্থান করছেন চাষাঢ়া মোড় ও আশপাশের সড়কে। অন্যদিকে পুলিশ চাষাঢ়ার অদূরে উত্তর চাষাঢ়া এলাকায় অবস্থান নিয়েছে।
এদিকে দুপুর থেকেই আন্দোলনকারীরা একে একে হামলা চালায় জেলা পরিষদ কার্যালয়, রাইফেলস ক্লাব, চাষাঢ়া পুলিশ বক্স, তল্লা আওয়ামী লীগ অফিসে। এ ছাড়া শামীম ওসমানের মালিকানাধীন শীতল পরিবহনের চারটি বাস ভাঙচুর করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল বাশার বলেন, ‘আমাদের এখানে অন্তত ২৮ জন আউটডোরে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ছাড়া ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আরও রোগী আসছে। এদের কেউ কেউ গুলিবিদ্ধ আবার কেউ কাঁদানে গ্যাসের কারণে শ্বাসকষ্টে হাসপাতালে এসেছে।’
বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এই প্রতিবেদন লেখা অবস্থায় চাষাঢ়া চত্বর দখলে রেখেছে আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে উত্তর চাষাঢ়া এলাকায় পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলমান রয়েছে।