পাঁচটি দ্রুতগামী স্পিডবোট দিয়ে টঙ্গী নদীবন্দর থেকে ঢাকা বৃত্তাকার নৌপথে স্পিডবোট সেবা চালু করা হয়েছে। টঙ্গী নদীবন্দরে আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এই সেবার উদ্বোধন করেন।
এর আগে তাঁরা টঙ্গী নদীবন্দরে বিআইডব্লিউটিএর ইকোপার্ক উদ্বোধন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিআডিব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক, নৌপুলিশের প্রধান মো. শফিকুল ইসলাম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোল্লা নজরুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বেসরকারি উদ্যোগে প্রথম পর্যায়ে টঙ্গী/আবদুল্লাহপুর-কড্ডা এবং টঙ্গী/আবদুল্লাহপুর (গাজীপুর)-উলুখুল (কালীগঞ্জ)—এ দুটি রুটে স্পিডবোট চলাচল করবে। পর্যায়ক্রমে যাত্রী চাহিদার আলোকে কড্ডা-গাবতলী এবং গাবতলী-সদরঘাট এ দুটি নৌরুটে স্পিডবোট চালু করা হবে বলে জানিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে টঙ্গী নদীবন্দর থেকে বৃত্তাকার নৌপথে যাত্রী চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্রুতগামী স্পিডবোট চালুর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তা ছাড়া যাত্রী চাহিদার আলোকে ঢাকা শহরের বৃত্তাকার নৌপথে নতুন নৌপথ সৃষ্টি করে দ্রুতগামী স্পিডবোট চালুর আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ঢাকার বৃত্তাকার নৌপথে স্পিডবোট চালু হলে উক্ত এলাকার জনগণ যানজটমুক্ত ও সাশ্রয়ী মূল্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে এবং সড়কপথে যানবাহনের চাপ কমাতে সহায়তা করবে বলে আশাবাদী নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
টঙ্গী ইকোপার্ক ১১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। টঙ্গী ইকোপার্ক নির্মাণকাজটি ২০২০ সালের ৮ নভেম্বর শুরু হয়ে ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল সম্পন্ন হয়। টঙ্গী নদীবন্দর এলাকায় তিন একর অধিগ্রহণকৃত ভূমির মধ্যে ২ দশমিক ৫ একর ভূমিতে ইকোপার্কটি নির্মিত হয়। ইকোপার্কটি নির্মাণের ফলে ওই এলাকার সর্বস্তরের জনগণের কাঙ্ক্ষিত বিনোদনসহ দৃষ্টিনন্দন পরিবেশে পরিবার-পরিজন নিয়ে অবসর সময় কাটাতে সহায়তা করবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ঢাকা শহরের চারদিকে নৌপথ উন্নয়ন, সংরক্ষণ, সৌন্দর্যবর্ধন ও চালু করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, ঢাকা শহরের চারদিকে বৃত্তাকার নৌপথ চালু করে সড়কপথে যানবাহনের চাপ কমানো এবং নৌপথে সাশ্রয়ী মূল্যে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের ব্যবস্থা চালু করার লক্ষ্যে কয়েকটি ধাপে ঢাকার চারটি নদীর ১১০ কিলোমিটারে নৌপথে নৌযান পরিচালনার পদক্ষেপ নেওয়া হয়। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক বৃত্তাকার নৌপথের নদী খননসহ ৯টি ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণের মাধ্যমে নৌপথটি চালু করা হয়।
বর্তমানে উক্ত নৌপথে মালামাল পরিবহন গুরুত্ব পেলেও লো-হাইটের ব্রিজ, অতিরিক্ত সময় এবং যাত্রীবান্ধব পরিবেশের অভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে পরিবহনব্যবস্থা যাত্রীবান্ধব করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তী সময়ে বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃক ওয়াটার বাস চালু করা হলেও বিভিন্ন কারণে তা বর্তমানে বন্ধ রয়েছে।