কেরানীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীন আহমেদের (আনারস) উপস্থিতিতে কয়েকটি কেন্দ্রে জাল সিল মারার অভিযোগ তুলেছেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বিপ্লব (কাপ-পিরিচ)। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টার আলতাফ হোসেন বিপ্লব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেরানীগঞ্জে শুভাঢ্যায় যদি সিল-মারামারি না হতো, তাহলে ইনশাল্লাহ ভালো রেজাল্ট পেতাম।’
আলতাফ হোসেনের অভিযোগ—শুভাঢ্যার ১,২, ৩,৫, ৭ নম্বর কেন্দ্রে দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জাল ভোট মারা হয়েছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, কয়েকবার জানানোর পরও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় পরিস্থিতি মোটামুটি ভালো থাকলেও, কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানায় প্রশাসনের কোনো সহযোগিতা পাননি।
এ ছাড়া সকালে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে তাঁর এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।
তবে ফল প্রকাশের পর কোনো প্রতিক্রিয়া জানাবেন না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ জানাব না। লিখিত অভিযোগ জানিয়ে এ দেশে কিছু হয় না। যা রেজাল্ট হোক আমি প্রতিক্রিয়া জানাব না।’
অন্যদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এসব মিথ্যা, বানোয়াট তথ্য। ওই প্রার্থী নিশ্চিত পরাজয় জেনে এসব অভিযোগ তুলেছেন।’
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেরানীগঞ্জ উপজেলায় ২২৫টি কেন্দ্রে ভোটার রয়েছে ৬ লাখ ১১ হাজার ৩৭০ জন। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শেষ হয়েছে, কোথায় বিশৃঙ্খলার তথ্য পাইনি।’