ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে আন্দোলনে নামা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ৪২ জন চালককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ সোমবার পৃথক তিন মামলায় তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
বিকেলে ৪২ জন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালককে আদালতে হাজির করে মিরপুর, পল্লবী ও কাফরুল থানা-পুলিশ। মিরপুর থানার মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল ইসলাম, পল্লবী থানার মামলায় মো. শাকিল আহাম্মদ এবং কাফরুল থানার মামলায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আখতারুজ্জামান তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতের প্রসিকিউশন কার্যালয়ের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জালাল উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মিরপুর থানার মামলায় কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন অনিক, মো. আবু বক্কর, মো. আলী হোসেন, মো. সাগর মৃধা, মো. সাহর শেখ, মো. বকুল হোসেন, মো. নুরুল ইসলাম, মো. মাজেদ আলী, মো. মোতাহার হোসেন, মো. দুলু মিয়া ওরফে বুলু, নবী হোসেন, মো. সাহাবুদ্দিন, রুহুল আমিন, মো. জুনায়েদ ও মো. জাকির হোসেন।
পল্লবী থানার মামলায় কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন রানা চৌধুরী, রাসেল, জাকির হোসেন, মেহেদী হাসান, জালাল শরীফ, মো. আব্দুল মোতালেব, মোরসালিন মিয়া, মো. শাহাজাহান মিয়া, মো. রাসেল, মো. ওয়াজিব, আনোয়ার হোসেন, মো. আতাউর রহমান, মো. সুমন, নূর মোহাম্মদ ও শরিফ।
কাফরুল থানায় গ্রেপ্তার যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে, তাঁরা হলেন ফকরুল ইসলাম, কামাল মিয়া, আল আমিন মিয়া, সুপ্ত রায়, ওসমান গণি, শাকিল হোসেন, আব্দুল হামিদ, আজিজুল হক, আমির, শহিদুল ইসলাম, জহুরুল ইসলাম ও রাসেল।
গতকাল রোববার আগারগাঁও, মিরপুর-১, ১০ ও আশপাশের এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা রাস্তায় নেমে সড়ক অবরোধ করেন। পরে পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ রিকশাচালকেরা সড়কে বসে বিক্ষোভ ও পরে বিভিন্ন যানবাহনে ভাঙচুর করেন। পুলিশ বক্সেও হামলা করেন।
এ ঘটনায় মিরপুর, পল্লবী ও কাফরুল থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়। মামলায় ব্যাটারিচালিত রিকশাশ্রমিকদের আন্দোলন চলাকালে যানবাহন ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়।