ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম প্রবেশদ্বার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুট। এই রুটে আসন্ন ঈদুল আজহায় ঘরমুখী মানুষ ও যানবাহন পারাপারে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। ঘাট প্রস্তুতসহ ঈদে যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে একসঙ্গে কাজ করছে বিআইডাব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা।
পাটুরিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ১২টি রো রো, দুটি ইউটিলিটি, একটি মাঝারি এবং তিনটি কে-টাইপের ছোট ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হবে। এ ছাড়া ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে। অন্যদিকে আরিচা-কাজীরহাট নৌ-রুটে পাঁচটি রো রো ফেরি এবং ১৩টি লঞ্চ ঈদ উপলক্ষে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এই নৌ-রুট ব্যবহারকারী একাধিক যানবাহনচালক জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে ভোগান্তি ছিল নিত্যদিনের। কিন্তু এখন পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই নির্বিঘ্নে পার হতে পারছে মানুষ ও যানবাহন। এ ছাড়া ঘাট এলাকা এবং মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ কাজ করবে।
বিআইডাব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ খালিদ নেওয়াজ বলেন, আসন্ন ঈদ সামনে রেখে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উভয় পারের ঘাটগুলো ঠিক করা হচ্ছে। নৌ-রুটে পর্যাপ্তসংখ্যক ফেরি থাকার কারণে বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ঈদের আগে তেমন কোনো সমস্যা হবে না।
মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান বলেন, ‘ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমাদের সহস্রাধিক পোশাকি ও শতাধিক সাদা পোশাকের পুলিশ থাকবে। রাস্তাঘাটে যাতে আমাদের গরুবাহী ট্রাক এবং নদীতে গরুবাহী ট্রলারগুলো নিরাপদে যেতে পারে এবং পশু বিক্রি করে তারা যেন টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারে—এ বিষয়গুলো সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে এবং যথাযথ ব্যবস্থা থাকবে।’
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার বলেন, ঘাটে সার্বক্ষণিক মেডিকেল টিম থাকবে। এ ছাড়াও মলম পার্টি কিংবা কোনো অসাধু চক্র যাতে যাত্রীদের হয়রানি করতে না পারে, তার জন্য ঘাট ও মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোবাইল টিম নিয়োজিত থাকাসহ সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।