কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গেছে। এবার ৪ মাস ১০ দিন পর দানবাক্স খোলা হয়েছে।
সর্বশেষ হিসাবে, ২০২৩ সালে চার ধাপে পাওয়া গিয়েছিল ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৮১ টাকা। ২০২২ সালে তিন ধাপে পাওয়া গিয়েছিল ১১ কোটি ২৮ লাখ ৪৮ হাজার ৫৯২ টাকা। আর ২০২১ সালে পাওয়া গিয়েছিল ৭ কোটি ৮০ লাখ ১৯ হাজার ৬২৪ টাকা।
এবার ৪ মাস ১০ দিন পর গতকাল শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে পাগলা মসজিদের ১০টি দানবাক্স খুলে পাওয়া যায় ২৭ বস্তা টাকা। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে দিনভর গণনা চলে তারপর সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১টা বেজে ৩০ মিনিট পর্যন্ত টানা ১৮ ঘণ্টা টাকা গণনার পর দানবাক্স থেকে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া গেছে, যা অতীতের সব রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে।
এর আগে ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন তিন মাস ১৮ দিনে ওই দানবাক্সগুলোতে জমা পড়েছিল ২৩ বস্তা টাকা। টাকার পরিমাণ ছিল ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩।
রাত ১টা বেজে ৩০ মিনিটে টাকার এই হিসাব নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজ। তিনি বলেন, ‘টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। টাকার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে।’
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজ, সহকারী কমিশনার রওশন কবীর, মাহমুদুল হাসান, সামিউল ইসলাম, আজিজা বেগম, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলামসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষকেরা গণনাকাজ তত্ত্বাবধান করেন।