ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও তাঁর পরিবারের রাজধানীতে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট, বাড়ি ও জমির তথ্য নিয়ে কয়েক দিন ধরেই চলছে আলোচনা। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। নানা আলোচনার মধ্যেই আজ বুধবার ভিডিও বার্তায় বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছেন আছাদুজ্জামান মিয়া।
বেসরকারি টেলিভিশন বাংলাভিশনে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে দু-একটি মিডিয়া অবৈধ সম্পদ অর্জনের যে খবর প্রকাশ করেছে—সেটি অসত্য, বানোয়াট, অতিরঞ্জিত, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমার জ্ঞাত আয়ের বাইরে কোনো ধরনের কোনো সম্পদ নেই এবং বৈধ আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, এমন কোনো সম্পত্তি আমার নেই বা আমার পরিবারের নেই।’
সস্ত্রীক বিদেশে যাওয়া প্রসঙ্গে ডিএমপির সাবেক কমিশনার বলেন, ‘গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, দু-একটি মিডিয়া প্রকাশ করছে, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পরে আমি সস্ত্রীক বিদেশে পালিয়ে এসেছি। যা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মূলত ডাক্তারের পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী চিকিৎসার জন্য আমি মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে এসেছি। চিকিৎসা শেষে আমি আগামী ২২ তারিখে দেশে ফিরব, ইনশা আল্লাহ।’
তিনি বলেন, ‘আমি দেশে ফেরার পরে প্রয়োজন হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় প্রমাণ এবং তথ্যাদি পেশ করব।’
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘একটি চিহ্নিত মহল দেশের বাইরে থেকে এবং দেশের ভেতরে থেকে এই ধরনের অপপ্রচার করছে। আমাকে হেয় করার জন্য। সামাজিকভাবে আমার এবং আমার পরিবারের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করার জন্য, তাঁদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য আক্রোশমূলক এই ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।’
গণমাধ্যমের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মিডিয়াকর্মী ভাইদের কাছে অনুরোধ করব, আমার এবং আমার পরিবারের সম্মান ক্ষুণ্ন হয়—এই ধরনের মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন অপপ্রচার থেকে সকলে বিরত থাকবেন।’
গত রোববার গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়, ডিএমপির সাবেক এই কমিশনারের স্ত্রীর নামে ঢাকায় একটি বাড়ি ও দুটি ফ্ল্যাট এবং মেয়ের নামে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নামে ৬৭ শতক জমি রয়েছে। এই তিন জেলায় তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে আরও ১৬৬ শতক জমি রয়েছে।