হোম > সারা দেশ > ঢাকা

৩ মাসে পানিতে ডুবে ৫০৯ শিশুর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চলতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত এক থেকে দশ বছরের ৩৮ জন শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। অথচ জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত মাত্র তিন মাসে পানিতে ডুবে মারা গেছে ৫০৯ জন শিশু।

আজ শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি এবং সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ (সিআইপিআরবি) আয়োজিত এক সভায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২১ উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়। 

সিআইপিআরবির পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, এক থেকে পাঁচ বছর বয়সের শিশুমৃত্যুর অন্যতম মূল কারণ পানিতে ডুবে মৃত্যু। ২০০৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত পরিচালিত জরিপে দেখা যায়, পানিতে ডুবে মৃত্যুর হার খুব সামান্য হ্রাস পেলেও বাংলাদেশে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৪০ জন শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। এ ছাড়া বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ১৯ হাজার মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। 

সভায় সিআইপিআরবির উপনির্বাহী পরিচালক ড. আমিনুর রহমান বলেন, কী ব্যবস্থা নিলে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু রোধ করা যায়, সেটা গবেষণা করে বের করেছে সিআইপিআরবির গবেষকগণ। এই পদ্ধতিগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন ও স্বীকৃতিও পেয়েছে।

আমিনুর রহমান জানান, সিআইপিআরবির গবেষকদের প্রস্তাবনার আলোকে এরই মধ্যে একটি জাতীয় নীতিমালা গ্রহণ করা হয়েছে, যা অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। দেশজুড়ে পানিতে ডুবে মৃত্যুর যে নীরব মহামারি চলছে, এই নীতিমালা অনুমোদন ও বাস্তবায়ন হলে তা অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। 

আলোচনা সভায় বক্তারা জানান, পানিতে ডুবে মৃত্যুর হিসেবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বরিশাল জেলা। এই বরিশালেরই দুই জেলা পটুয়াখালী ও বরগুনার তিন উপজেলায় ২০১৬ সাল থেকে 'ভাসা' নামের একটি প্রকল্প পরিচালনা করে আসছে সিআইপিআরবি। যার মাধ্যমে ১-৫ বছর বয়সী শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশের জন্য 'আঁচল' (১-৫ বছর বয়সী শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র) এবং ৬-১০ বছর বয়সের শিশুদের সাঁতার শেখানোর কার্যক্রম ‘ভাসা’ পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু করোনার কারণে গত দেড় বছর ধরে এ কার্যক্রম বন্ধ আছে। ‘ভাসা’ প্রকল্পে সিআইপিআরবির সহযোগী হিসেবে রয়েছে রয়েল ইন্টারন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউশন এবং দ্য জর্জ ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল হেলথ।

অনুষ্ঠানে সিআইপিআরবি'র প্রতিনিধি বলেন, `ভাসা-১ প্রকল্প' শেষের পর দেখা গেছে, এই উদ্যোগের ফলে প্রকল্প এলাকায় পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার প্রায় ৫৩ শতাংশ কমেছে। যদি দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সাঁতার শেখার কার্যক্রম চালু হয়, তাহলে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার কমবে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর পানিতে ডুবে প্রায় ২ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ মারা যায়। এর বেশির ভাগই ঘটে নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশগুলোতে। বিশ্বজুড়ে পানিতে ডুবে মৃত্যুকে নীরব মহামারি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এই বাস্তবতায় চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল জাতিসংঘের ৭৫ তম সাধারণ সভায় বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের যৌথ প্রস্তাবনায় ২৫ জুলাইকে আন্তর্জাতিক পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। 

অপ্রশস্ত সেতুতে ভোগান্তি

ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসুর বিরুদ্ধে থানায় জিডি

সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেলের কারখানা পরিদর্শনে ভোক্তা-অধিকারের কর্মকর্তারা

আন্তকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মাইলস্টোন কলেজের সাফল্য

পদ্মা নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

ব্রির ছয় দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা শুরু

সিরাজদিখানে কুকুরের কামড়ে ৫ শিশুসহ আহত ১৫

সাবেক এমপির নামফলক ভেঙে গণপিটুনি খেলেন শ্রমিক দল নেতা

নাগরপুরে আ.লীগ নেতা কুদরত আলী গ্রেপ্তার

ইসমাইলের মৃত্যু: ডেলটা হেলথ কেয়ারের চিকিৎসকসহ ৫ জন কারাগারে

সেকশন